সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৭ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইনিংস ও ৪৭ রানের বড় জয়ে অবদানটা সবচেয়ে বেশি মাহমুদুল হাসান জয়ের। ১৭১ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদুল হাসান জয় জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। তবুও হতাশ জয়। দ্বিতীয় দিনশেষে ১৬৯ রানে অপরাজিত থাকায় জয়ের সুযোগ ছিল তৃতীয় দিনের ডাবল সেঞ্চুরি আদায় করে নেওয়ার। কিন্তু তিনি সেটি পারেননি। আর না পারার কারণেই মূলত এই হতাশা ভালো ব্যাটিং করার পরও।ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণীতে এসে জয় বলেন, ‘হ্যাঁ, ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারায় আমি একটু হতাশ। কিন্তু দিনের শেষে আমি খুব ভালো খেলেছি। আমি বেশ খুশি।’ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। শুরু হবে ১৯ নভেম্বর থেকে। সেই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছেন তিনি। মুশফিকের বিশেষ ম্যাচকে নিয়েও কথা বলেছেন জয়, ‘আর আমি মুশফিক ভাইয়ের জন্যও খুব খুশি—তিনি ১০০তম ম্যাচ খেলবেন। তাই আমরা সবাই পরের ম্যাচে তাকে দেখার জন্য খুবই উদগ্রীব হয়ে আছি।’

সিলেটের উইকেটে ১৭১ রানের ইনিংস খেলার পথে মাহমুদুল খেলেছেন খুবই দেখেশুনে। বাড়তি কোনো ঝুঁকি না নিয়েই সাজিয়েছিলেন ইনিংসটি। ২৮৬ বলের ইনিংসটি সাজান ১৪ চার ও এক ছক্কায়। বড় এই ইনিংস খেলতে গিয়ে উইকেটের সহায়তাও পেয়েছেন বলে জানান তিনি, ‘হ্যাঁ, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো ছিল। আমি চেষ্টা করি সবকিছু সহজ রাখতে, আর খারাপ বল এলে বাউন্ডারি বা সিঙ্গেলে কাজে লাগাতে। ব্যাটিংয়ের জন্য সত্যিই ভালো ছিল।’ শুরুতে ঝুঁকি না নিলেও সেঞ্চুরি আদায় করার পর আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকেন তিনি। চেষ্টা করছিলেন বেশিরভাগ বলেই বাউন্ডারি আদায় করে নিতে। তবে মুমিনুলের কাছ থেকে পরামর্শ ছিল ভিন্ন, ‘হ্যাঁ, আমার শতক হওয়ার পর আমি প্রায় প্রতিটা বল মারার চেষ্টা করছিলাম, আর মুমিনুল ভাই আমাকে বলেছিলেন ইনিংসটা আরও বড় করতে, এতে উপকার হবে।’ দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর পর টেস্টে সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছেন জয়। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটারদের এই দাপুটে ব্যাটিং বজায় থাকবে ঢাকা টেস্টেও, এমনটাই আশা সমর্থকদের। আর বজায় থাকলেই স্মরণীয় করা সম্ভব হবে মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট।