ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২-১ ব্যবধানে। পুরো সিরিজটি ছিল উত্তেজনায় ভরা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে শুধু সিরিজ জয়ই নয়, এই সিরিজ থেকে টিকিট বিক্রি করেও বিশাল পরিমান অর্থ আয় করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজে টিকিট বিক্রি থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয় করেছে প্রায় ৩ কোটি টাকা।

তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইস্টার্ন ও নর্দান স্ট্যান্ড ছিল টিকিট বিক্রির দিক থেকে সোল্ড আউট। সাম্প্রতিক সময়ে এটি বিসিবির সর্বোচ্চ টিকিট আয়ের রেকর্ড। ম্যাচপ্রতি বিসিবির আয় হয়েছে গড়ে প্রায় ৯০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৩ ম্যাচে মোট আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার বেশি। নিয়ম অনুযায়ী এই আয়ের ১৫ শতাংশ যাবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) ঘরে, যা ম্যাচপ্রতি প্রায় ৬ লাখ টাকা।

তবে শুধু আয় নয়, মানবিক উদ্যোগেও এগিয়ে এসেছে বিসিবি। সিরিজের শেষ ম্যাচের টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ দেয়া হবে জুলাই ফাউন্ডেশন ও মাইলস্টোন স্কুল যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তায়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অংশ এবং টিকিট ছাপানোর খরচ বাদ দিয়ে লভ্যাংশ দান করা হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড। অনলাইনেই বিক্রি হয়েছে সব টিকিট। যদিও অনেকে অনলাইনে টিকিট প্রাপ্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, তবে কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণে ছিল তুলনামূলকভাবে। অভিযোগ রয়েছে, স্টেডিয়ামের বাইরে কালোবাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ টিকিটই ছিল বিসিবির ‘সৌজন্য খাত’ থেকে আসা। উল্লেখ্য, ম্যাচপ্রতি ৩০ শতাংশ টিকিট বরাদ্দ থাকে স্পন্সর, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ, ক্লাব এবং পৃষ্ঠপোষকদের জন্য। অবশ্য সৌজন্য টিকিটে লাগাম টানলে সাধারণ দর্শকদের জন্য টিকিটের প্রাপ্যতা যেমন বাড়বে, তেমনি কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হবে। শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাম্প্রতিক হোম সিরিজগুলো ছিল আর্থিক দিক থেকে অলাভজনক। মাঠের পারফরম্যান্স ও অদ্ভুত সময়সূচিকেই দায়ী করা হচ্ছে সেই ক্ষতির জন্য। লম্বা সময় পর এমন সফল সিরিজ উপহার দেয়ায় খুশি বিসিবি ও ক্রিকেটপ্রেমীরা। মাঠের পারফরম্যান্স, দর্শকদের উচ্ছ্বাস এবং মানবিক দায়িত্ব পালনে এ সিরিজ ছিল এক কথায় অনন্য।