শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে টাইগাররা। আজ কলম্বোতে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি জিতলেই অন্তত ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজ জয়ের স্বাদ নিয়ে দেশে ফিরতে পারবে তারা! আগের ম্যাচের মোমেন্টামই এবারও কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। কারণ সিরজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলংকাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগবে বলে মনে করেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘সবশেষ ম্যাচ আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে মনে হয়েছে ছেলেরা ভালো মোমেন্টাম পেয়েছে এবং আত্মবিশ্বাসও আমাদের আছে। আশা আছে শেষটা যেন ভালোভাবে করতে পারি। আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করবো। এই মুহূর্তে নতুনভাবে ভাবার কিছু নেই। যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলছি, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করবো। মিডল অর্ডারে ভালো করলে আমরা সফলতা পাবো। আমাদের মিডল অর্ডারের ওরকম খেলোয়াড় বেঞ্চে নেই। প্রথম ম্যাচে ওভাবে খেলানোর মতো অপশন আমাদের ছিল না। জাকের চোটে ছিল। পরিকল্পনা যা ছিল, সেই অনুযায়ী গিয়েছিলাম। কিন্তু হয়নি। আমরা সবসময় চাই জাকের এবং শামীম শেষ করবে ম্যাচ, তাদের ওপরে এমন দায়িত্ব দেওয়া যাবে না, যেখানে দাঁড়িয়ে তাদের ইনিংস মেরামত করতে হয়। তারা যেন নিশ্চিন্তে খেলতে পারে। আমাদের পরিকল্পনা ওরকমই ছিল।’
শেষ ম্যাচে কেমন একাদশে হবে এমন প্রশ্নে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘ কোনও দলই চায় না উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের দিকে তাকাতে হবে। অনেকে ইনজুরি থেকে আসছে। তাদের কাজের চাপটার দিকে আমাদের খেয়াল করতে হবে। তাদের ফিট রাখাটা জরুরি। যেভাবে টানা সূচি ছিল, সেখানে প্রতিদিন ম্যাচ খেলানো কঠিন। সবকিছু ভারসাম্য করে চলতে হয়, এটা হয়তো বাইরে থেকে ওভাবে বোঝা যায় না। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা দিতে হবে। তাসকিনকে যদি টানা খেলানো হয়, সে একটা বড় ইনজুরি থেকে এসেছে। একটা ম্যাচ খেলানোর জন্য দেখা গেলো আবার তাকে এক বছর বসে থাকতে হচ্ছে।’ প্রায় এক বছর ধরে সাকিব আল হাসান জাতীয় দলে নেই। এখনও তার অভাব অনুভব করেন সালাউদ্দিন, ‘আমাদের অনেক কিছুতে বিলাসিতা করার মতো সুযোগ থাকে না, এটা আমাদের বুঝতে হবে। অনেক সময় ব্যাটারে ঘাটতি তৈরি হয়, অনেক সময়ে বোলারে তৈরি হয়। সাকিব যখন ছিলেন, তখন আমরা চালকের আসনে ছিলাম। একজন অতিরিক্ত বোলার খেলাতে পারতাম, অতিরিক্ত ব্যাটার খেলাতে পারতাম। সুতরাং দলের অবস্থা অনুযায়ী আমাদের চলতে হয়। সেভাবেই দল সাজাই।
আমরা জানি নাসুমকে খেলালে আমাদের হয়তো লাভ হতে পারে, কিন্তু তখন হয়তো রিশাদকে বসাতে হবে অথবা অন্য কাউকে বসাতে হবে। আবার ব্যাটিংয়ের ওপরেও তাকাতে হয়। কেউ ফর্মে আছে কিনা, অফফর্মে আছে কিনা। এসবের ওপরে নির্ভর করেই আমাদের দলটা করতে হয়।’ দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় আলাদাভাবে কাউকে দোষ দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন কোচ, ‘দলের একজন সদস্য হিসেবে আমি চাইবো দলটা যেন ভালো করুক। সুতরাং মূল বিষয় এটাই। এজন্য সকলের বোঝা উচিত, কাকে কীভাবে দেখা উচিত। কাউকে দোষ দিয়েও লাভ নেই, আমাদের হাতে অপশন কম, নির্বাচকদের হাতেও অপশন কম। আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই দল তৈরি করি। কিন্তু অপশন কম থাকায় বেশি কিছু করা সম্ভব হয় না। প্রতিটি সিরিজ অনুযায়ী সেভাবে চিন্তা করা হয়, সেভাবেই নির্বাচকরা দল দেন। আমাদের যে ব্যবস্থাপনাপত্র দিবে, তার বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারবো না। যে ১৬ জন দিবে তার বাইরে কিছু করার নেই।’