আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরআগে পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। কারণ শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে আসায় দলের আত্মবিশ্বাস অনেক তুঙ্গে। এমনটাই জানালেন অধিনায়ক লিটন দাস। গতকাল ম্যাচ পূর্ববর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে অধিনায়ক বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারার পর ভালোভাবে কামব্যাক করেছি। অবশ্যই আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভেতরে আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। তবে একইসঙ্গে এখন ভিন্ন কন্ডিশন, ভিন্ন দল। তাই পার্টিকুলারলি ওই দিনে ওইভাবেই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আত্মবিশ্বাসটা আপনাকে সাহায্য করবে। একই সময়ে অবস্থানটা ধরে রাখার জন্য আপনার মনোযোগটা কেমন আছে, সেটাও অনেক বেশি জরুরি হবে সামনের ম্যাচের জন্য।’ যদিও পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। করাচিতে তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। এবার সেই হারের শোধ নিতে মরিয়া তা লিটনের কথাতেই প্রকাশ পেল, ‘পাকিস্তানে যখন খেলতে যাই, একই চিন্তাধারা ছিল যে জেতার জন্য খেলব। দুর্ভাগ্যবশত জিততে পারিনি। কিছু ভুল করেছি, তাই ফল আনতে পারিনি। তবে যে কোনো দলকে হারানোর মতো মানসিকতা আমাদের আছে। আমরা সেই চেষ্টাই করব। তবে আপনাকে নির্দিষ্ট দিনে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তার মানে এই না যে, হোম কন্ডিশন বলে আমরাই ভালো ক্রিকেট খেলব। আগেও বলেছি, পাকিস্তান ভালো দল। তাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বিপিএল খেলে থাকে। তারাও সেই কন্ডিশনটা সম্পর্কে জানে। আমরা চেষ্টা করব, ভালো ক্রিকেটটা খেলার।’ এরআগে মিরপুর শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের স্লো উইকেটে গেল কয়েক বছর ধরে অনেক সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের রেকর্ড রয়েছে টাইগারদের। তবে ম্যাচ জয়ের কারণে অনেক ব্যাটারদের ব্যর্থতা চোখে পড়েনি তেমন। লিটন দাস বলেন, 'আমি একমত যে অনেক প্লেয়ারেরই ক্যারিয়ার অনেকটা ডাউন হয়ে গেছে ব্যাটসম্যান হিসেবে (মিরপুরে খেলে)। আমি যদি বোলার হতাম, হয়তোবা আমার ক্যারিয়ারটা একটু উন্নতি হতো ওখানে, ওই উইকেটে খেলে। অবশ্যই বাংলাদেশ দল ওখানে উন্নতি করেছে, সিরিজ জিতেছে, এটা একটা বিশাল প্লাস পয়েন্ট। কিন্তু একই সময়, ব্যাটসম্যানদের জন্য একটু খারাপ ছিল।' তবে ব্যাটারদের জন্য যে একেবারে খারাপ সেটাও মনে করেন না লিটন, 'ব্যাটসম্যানদের যে সবসময় সমস্যা হয়, তা না। ক্লিয়ার করে দেই, নির্দিষ্ট ওই দুটা সিরিজ ব্যাটসম্যানদের একটু সমস্যা হয়েছে। চ্যালেঞ্জিং থাকে এখানে, স্পিনাররা স্পিন বল করে, ব্যাটসম্যানরাও রান করে না তা না; রানও হয় এবং পেস বোলাররাও হেল্প পায়। সো স্পোর্টিং উইকেট এটা এবং সেম জিনিস, দুই সাইডের জন্যই জিনিসটা সমান থাকবে। এমন না যে আমরাই শুধু সুবিধা পাবো। তাদেরও পেস বোলিং আছে, তাদেরও স্পিনার আছে এবং তাদেরও ব্যাটসম্যান আছে। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, এটাই আমাদের টার্গেট।’ লিটনকে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। তবে লিটন এতোদূর চিন্তা করছে না। তার ভাবনা কেবল বর্তমানেই, ‘আমি বর্তমানেই আছি। আপনারা নেই। আমি তো বর্তমানেই দাঁড়িয়ে আছি। আমাকে বর্তমান নিয়ে প্রশ্ন করলে, বর্তমান নিয়েই উত্তর দেবে। আমরা পুরো দলই বর্তমানে আছি। সামনে যেহেতু আগামীকাল খেলা, তো ভবিষ্যত চিন্তা করব কীভাবে, ৬ মাস পর কী হবে।’ পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ১১ দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ১০টিই হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ২২ মুখোমুখিতে বাংলাদেশের জয় কেবল ৩টিতে। এবার পাকিস্তানকে হারাতে সেরা ক্রিকেটের বিকল্প নেই তা আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন লিটন, ‘শ্রীলংকা দুইদিন আগে যেটা ঘটে গেছে ওটা পাস্ট। সো এখন এটা নতুন জায়গা, নতুন ভেন্যু, সবকিছু নতুনভাবে নিতে হবে, নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। আমরা প্রস্তুত এই চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার জন্য। দেখি কী হয়। আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। সব কিছু তৈরি হয় ইতিহাস হওয়ার জন্য। আর রেকর্ড কিন্তু ভাঙাও হয়। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে না। ওই রেকর্ডের চিন্তা না করে, আমরা কী করতে পারি, আমাদের কতখানি সামর্থ্য আছে, কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, সেসব ভাবলে ওই সব জিনিসই বদলে যাবে।’
ক্রিকেট
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব ---------------লিটন দাস
আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরআগে পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ভালো করতে চায় বাংলাদেশ।
Printed Edition
