জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা বিভাগকে হারিয়ে রংপুর বিভাগ কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে। আর রংপুরের কাছে হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ঢাকার। ঢাকার দেওয়া ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৮ ওভার শেষে রংপুরের জয় পেতে দরকার ছিল ১০ রান আর হাতে ছিল ৪ উইকেট। পরের ওভারে ২ রানে ২ উইকেট হারানোয় সেই ম্যাচ আরও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ১ বল এবং ১ উইকেট হাতে রেখে জিতে রংপুর। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল এলিমিনেটর। ফলে বাদ পড়লেই যে বিদায় সেই সমীকরণ আগেই জানা ছিল। অন্যদিকে, ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে রংপুরকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে (চট্টগ্রাম-খুলনা) পরাজিত দলের মোকাবিলা করতে হবে। এর আগে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হরিয়ে ১২৩ রান তোলে। তাদের পক্ষে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন। তার ৩৬ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ ছক্কা ও ২ চারে।

সৈকত ক্রিজে এসেছিলেন দলের ৪ উইকেটে ২৬ রান তোলার পর। ফলে বোঝাই যাচ্ছে তার বিধ্বংসী ইনিংস না পেলে ঢাকা লড়াইয়ের পুঁজিও পেত না। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন শুভাগত হোম। বিপরীতে রংপুরের হয়ে নাসুম আহমেদ, নাসির হোসেন ও আবু হাশিম দুটি করে উইকেট নেন। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪৮ রানে পঞ্চম ও ৫২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় রংপুর। ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে ৪৪ রান করে দলকে জয়ের পথ দেখান অধিনায়ক আকবর আলি। অলরাউন্ডার নাসুম আহমেদের সঙ্গে গড়েন ৪১ বলে ৬২ রানের জুটি। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে আকবর ২৯ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৪৪ রান করেন। তার সঙ্গে নাসুমের জুটি জয়ের পথে ছুটলেও ১৯তম ওভারে মোড় ঘুরিয়ে দেন স্পিনার রায়হান রাফসান। তিনি ২ রানে ২ উইকেট নেন। তখনও আকবর ক্রিজে থাকায় ভরসা ছিল রংপুরের। শেষ ওভারে জয় পেতে প্রয়োজন ৮ রান। রিপন মণ্ডলের বলে স্কুপে চার মারেন আকবর, কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ আউট তিনি।

শেষ উইকেটে তাদের জয়ের জন্য ৪ বলে ৪ রান লাগে। দুই বলে দুটি সিঙ্গেলের পর ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে রংপুরকে জেতান শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে আসা বোলার আবদুল গাফ্ফার। যা তাদের কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে বিদায় করেছে মাহিদুল অঙ্কনের দলকে।