ক্রিকেট
রূপগঞ্জের কাছে হারল প্রাইম ব্যাংক
প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে জয় পেয়েছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। গতকাল দলটি ৮ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংককে। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ইরফান শুক্কুরের প্রাইম ব্যাংক আর আকবর আলীর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের লড়াই হওয়ার কথা ছিল সেয়ানে সেয়ানে।
Printed Edition

প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে জয় পেয়েছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। গতকাল দলটি ৮ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংককে। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ইরফান শুক্কুরের প্রাইম ব্যাংক আর আকবর আলীর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের লড়াই হওয়ার কথা ছিল সেয়ানে সেয়ানে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। কাগজে-কলমে সমান সমান হলেও মাঠের লড়াইয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি প্রাইম ব্যাংক। ফর্মের চূড়োয় থাকা ওপেনার নাইম শেখ ছাড়া দলের আর একজনও দলকে ভরসা দিতে পারেননি। আগের ম্যাচে ব্রাদার্সের সঙ্গে ১৭৬ রানের বিরাট ইনিংস খেলা বাঁহাতি ওপেনার নাইম শেখ গতকালও একা লড়ে ৮৩ বলে ৫ ছক্কা এবং ৪ বাউন্ডারিসহ ৮১ রানের সাহসী ইনিংস উপহার দিয়েছেন। আর সাব্বির হোসেন, জাকির হাসান, শাহাদাত দিপু, শামীম পাটোয়ারী, অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরসহ সবাই ব্যর্থতার ঘানি টেনেছেন। মোদ্দা কথা, প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় আকবর আলীর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৮ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। আগের খেলায় শেরে বাংলায় ৪২২ রানের রেকর্ড গড়া প্রাইম ব্যাংক প্রথম ব্যাট করে মাত্র ১৫২ রানে অলআউট হয়েই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায়। বিকেএসপির ব্যাটিং সহায় পিচে ওই সামান্য কটা রান নিয়ে লড়াই করা সম্ভব নয়। হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ, রিশাদ হোসেন ও নাহিদুল ইসলামের মত বোলাররা আর হালে পানি পাননি। প্রতিপক্ষ বোলিং লাইনআপে টগবগ করে ফুটতে থাকা বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম আর তানজিম সাকিব থাকার পরও প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটাররা বিপদে পড়েছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অফস্পিনার সাইফ হাসানের বলে। সাইফ বোলিং করেন প্রায় ম্যাচেই। তারপরও জেনুইন স্পিনার হিসেবে ধরা হয় না তাকে। আজ বিকেএসপিতে সেই সাইফ হাসানের বলে আউট হয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের ৪ ব্যাটার। আর তাতেই ঘটেছে সর্বনাশ। অপর ৩ উইকেট দখল করেছেন পেসার তানজিম সাকিব। ছোট পুঁজি টপকাতে সমস্যা হয়নি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। বাঁহাতি তানজিদ তামিম রানে আছেন। আগের ম্যাচগুলোর মত আজও স্বচ্ছন্দ্যে উইকেটের চারপাশে বাহারি শটস খেলে মাত্র ৪৯ বলে ৬৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দিয়েছেন তানজিদ তামিম। এই ৬৮ রানের ৫৯ এসেছে শুধু ছক্কা (৫টি) আর বাউন্ডারি (৭টি) থেকে। বল হাতে নজর কাড়া সাইফ হাসান ব্যাট হাতে (১৬) ওপেন করতে গিয়ে অবশ্য কিছু করতে পারেননি। তাতে কোনই সমস্যা হয়নি। সৌম্য সরকার ওয়ান ডাউনে নেমে ম্যাচ শেষ করে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন। সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫০ রান। অবশ্য কাগজে-কলমে দুই দলের শক্তি ও সামর্থ্য ছিল প্রায় কাছাকাছি। প্রাইম ব্যাংকে ছিলেন নাইম শেখ, সাব্বির হোসেন, জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, ইরফান শুক্কুর, শামিম পাটোয়ারীর মত ব্যাটার আর খালেদ, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন ও নাজমুল অপুর মত বোলার। অন্যদিকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলেছেন তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকের আলী অনিক ও আকবর আলীর মত ব্যাটার এবং সঙ্গে শেখ মেহেদী, তানভীর ইসলামের মানের স্পিনার, তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলামের সাজানো ধারালো বোলিং লাইন আপ।
প্রাইম ব্যাংক: ২৯.৫ ওভারে ১৫২/১০ (নাইম শেখ ৮৪, সাব্বির হোসেন ৭, জাকির হাসান ৯, শাহাদাত দিপু ২০, ইরফান শুক্কুর ৪, নাহিদুল ইসলাম ৬, শামীম পাটোয়ারি ১১, রিশাদ হোসেন ৮; সাইফ হাসান ৪/৩৭, তানজিম সাকিব ৩/৩৩, শরিফুল ইসলাম ১/২৫, শেখ মেহেদী ১/২৫, তানভীর ইসলাম ১/৩৫)।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ২৩.২ ওভারে ১৫৪/২ (তানজিদ তামিম ৬৮, সাইফ হাসান ১৬, সৌম্য সরকার ৫০*, মাহমুদুল হাসান জয় ১৪*; নাহিদুল ইসলাম ১/৩৭, রিশাদ হোসেন ১/৪০)।
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৮ উইকেটে জয়ী।