হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাভারের কেপিজে হাসপাতাল ভর্তি হওয়া তামিম ইকবালের সার্বিক অবস্থা এখন আশাব্যঞ্জক। তাই পারিবারিক সিদ্ধান্তে ঢাকায় আনা হয়েছে তামিম ইকবালকে। গতকাল রাতে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে আনা হয় বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ককে। অবশ্য এই মুহূর্তে তাকে অন্য কোথাও ‘মুভ করা খুবই রিস্কি’ বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবুও পরিবারের ইচ্ছায় গতকাল সন্ধ্যায় তাকে সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের ৪৮ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই হাসপাতাল বদলানো হয়েছে তামিমের। কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কেপিজে হাসপাতাল ছেড়েছেন তামিম। সাভারের হাসপাতাল থেকে হুইলচেয়ারে করে বের করে আনা হয় তামিমকে। এরপর তিনি অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন। কেপিজে হাসপাতাল থেকে এভারকেয়ার পর্যন্ত পথিমধ্যে প্রত্যেক থানার পুলিশ তামিমের সেইফ এক্সিট নিশ্চিতে কাজ করে। তামিমের হাসপাতাল বদলের খবরটি নিশ্চিত করেছেন কেপিজে হাসপাতালের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটের ইনচার্জ রাসেল হোসেন। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক সিদ্ধান্তেই তাঁকে এভারকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানেও তিনি পর্যবেক্ষণেই থাকবেন।’ গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তামিম ‘ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড’ পেরিয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে আরও কয়েকদিন সতর্ক থাকতে হবে তাকে। সোমবার সারা রাত সিসিইউতে পর্যবেক্ষণে থাকার পর গতকাল সকালে কেবিনে নেওয়া হয়েছে তামিমকে। সেখানে তিনি স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন, খাবার খেয়েছেন এবং হাঁটার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। সোমবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ চলাকালে তামিম ইকবাল বুকে ব্যথা অনুভব করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজে ভর্তি করা হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি হার্টের ইসিজিও করানো হয়। তখন হালকা সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসা শেষে আবার বিকেএসপিতে ফেরার পথে তার আবার ব্যথা শুরু হয়। সে কারণে দ্বিতীয়বার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন দেখা যায় তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের মতো হয়েছে। এরপর এনজিওগ্রাম করে দেখা যায় তার হার্টে একটি ব্লক রয়েছে। সেটিতে রিং পরানো হয়। সেই থেকে তিনি ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।