বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হলো আয়ারল্যান্ডের। দুই বছর আগে মিরপুরে প্রথম দেখায় সাকিব-মুশফিকরা জিতেছিল ৭ উইকেটে। সিলেটের এই টেস্টেও তৃতীয় দিনেই বড় জয়ের ভিত গড়ে নেয় স্বাগতিকরা। ৩০১ রানের লিড নেওয়ার পর দিনের শেষেই ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আইরিশরা। শেষ ৫ উইকেট তুলে নিতে সময় লাগলেও বাংলাদেশ জিতেছে ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে।

ইনিংস ব্যবধানে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়। টেস্ট ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত চারবার ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে স্পিন ও পেস—উভয় বিভাগের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ড অলআউট হয় ২৮৬ রানে। জবাবে ব্যাট হাতে রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়ের ১৭১, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি এবং সাদমান, মুমিনুল ও লিটনের ফিফটিতে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৮৭।

৩০১ রানের বিপুল লিড টপকানো আইরিশদের জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তৃতীয় দিন শেষে ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়। যদিও আগের দিনের ধারাবাহিকতায় দ্রুত ম্যাচ শেষ হয়নি চতুর্থ দিনে। মধ্যাহ্ন বিরতিতে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ছিল ১৯৮/৭। বিরতির পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে চেষ্টা করেও তাইজুল-মুরাদদের সামনে টিকতে পারেনি নেইল-ম্যাককার্থির জুটি। শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড থামে ২৫৪ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। মধ্যাহ্ন বিরতির পর নাহিদ রানার ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে শর্ট মিডে মুরাদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। নবম উইকেট জুটিতে মাত্র ৫৬ বলে ৫৪ রান তুলে দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন ব্যারি ম্যাককার্থি ও জর্ডান নেইল। তবে মুরাদের বলে নেইল আউট হলে ভাঙে সেই জুটি, আর ৪ বল পর ম্যাককার্থি ফিরতেই শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের প্রতিরোধ।

দ্বিতীয় ইনিংসে বালবার্নি করেন ৩৮, নেইল ৩৬ এবং ম্যাককার্থি ২৫ রান। আগের দিন পল স্টার্লিং করেছিলেন ৪৩। অভিষেক ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে আলো ছড়িয়েছেন মুরাদ। এছাড়া তাইজুল নিয়েছেন ২ উইকেট, রানা একটি।

১৭১ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। যদিও তিনি আগের দিন স্বীকার করেছিলেন, প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ায় কিছুটা হতাশ তিনি। এই সিরিজ দিয়েই তিনি দলে ফিরেছেন।