টেস্ট ক্যারিয়ারের এবার ১০০ নম্বর টেস্টে সেঞ্চুরি করে মুশফিক নাম লেখালেন এলিট বোর্ডে, হলেন নন্দিত ও প্রশংসিত। এখন ইংলান্ডের কলিন ক্রাউড্রে, অ্যালেক স্টুয়ার্ট ও জো রুট, পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াদাঁদ ও ইনজামাম উল হক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ, অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং, ডেভিড ওয়ার্নার, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ ও হাশিম আমলার সাথে মুশফিকের নামও হীরক খচিত হয়ে থাকলো। এমন দুর্লভ ও বিশাল কৃতিত্বকে কিভাবে দেখছেন মুশফিক? দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সে প্রশ্নের উত্তরে মুশফিক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। এটা তো আসলে আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারি না যে, শততম টেস্টে শতরান হবে। তাই অবশ্যই ভালো লাগছে যে, সেই ১০০ নম্বর টেস্টে সেঞ্চুরিয়ান ব্যক্তিটা আমি হতে পেরেছি।’ এমন অর্জন ও প্রাপ্তির পর আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর না তুলে দায়িত্ব অব্যাহত রাখার জোর তাগিদ মুশফিকের কণ্ঠে, ‘আমার উপর দায়িত্বটা অন্যরকম বেশি। তো সেটা চেষ্টা করব। আর যে কটা ম্যাচই হয়তো যেভাবেই খেলতে পারি, ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে যেন সেটার প্রতিফলন দিতে পারি মাঠে। আর এর সাথে সাথে যেন আমি যাওয়ার পরে এমন এক-দুইটা প্লেয়ার ড্রেসিংরুমে রেখে যেতে পারি, যেন সেই গ্যাপটা পূরণ হয়ে যায়।’ গত চার-পাঁচ দিনে তাকে নিয়ে তার পূর্বসূরি সাবেক অধিনায়ক, সাবেক সতীর্থ ক্রিকেটার ও বর্তমান দলের টিমমেট থেকে শুরু করে কোচ; সবাই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। মাঠেও ব্যানার ছিল, অনেক কিছু ছিল। তার গোটা পরিবার মাঠে এসে পাশেই ছিলেন। সবার উন্মুখ অপেক্ষা সেঞ্চুরির জন্য। এমন আবেগঘন পরিবেশে মাথা ঠা-া রেখে সেঞ্চুরি করা সহজ নয়। মুশফিক কিভাবে তা করলেন? মুশফিক বোঝানোর চেষ্টা করেন, দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার তাকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে। মুশফিক বলেন, ‘এগুলা সবকিছু শিখে গেছি, আশা করি। অভিজ্ঞতা নেয়ার করার চেষ্টা করেছি এবং আবেগতাড়িত না হয়ে ঠা-া থাকার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি যে, শুধু আমি না, যদি এই রিকগনাইজেশনগুলো থাকে; আমার মনে হয় যেকোনো ক্রিকেটার বা ব্যক্তির জন্য এটা বড় প্রেরণা। এখন আমরা মনে করি বাংলাদেশের অনেক প্লেয়ার ভাবে যে, হ্যাঁ তারাও ১০০টা টেস্ট খেলতে পারে। এই স্বপ্নটা দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমার মনে হয় যে, তারা যেটা করেছে যে সম্মানটা আমাকে দিয়েছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরি হাঁকাতে মুশফিকের মাত্র ১ রান দরকার ছিল। প্রথম দিন শেষে ৯৯ রানে নটআউট ছিলেন মুশফিক। তিনি বললেন, ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা তার ক্যারিয়ারেরই এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে মুশফিক বলে ওঠেন, ‘অনেক অভিজ্ঞতাই ছিল, কিন্তু ৯৯ রানে নট আউট থাকার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না কখনো। পুরো ক্যারিয়ারে অনেক ওঠা নামার পালা ছিল। আবার রোমাঞ্চকর অনেক ঘটনাও ঘটেছে। তবে আজ দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরি পূরণের জন্য ১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামা এক অন্যরকম রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা এবং আমার ক্যারিয়ারে প্রথম এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম।’
ক্রিকেট
নিরানব্বই রানে অপরাজিত থাকা অন্যরকম অভিজ্ঞতা----মুশফিক
টেস্ট ক্যারিয়ারের এবার ১০০ নম্বর টেস্টে সেঞ্চুরি করে মুশফিক নাম লেখালেন এলিট বোর্ডে, হলেন নন্দিত ও প্রশংসিত।
Printed Edition