বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব ফিরতে আগ্রহী নন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছে।শনিবার ক্রিকবাজকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিসিবি সম্প্রতি শান্তকে টেস্ট দলের নেতৃত্বের প্রস্তাব দেয়। তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। সূত্রটি জানায়, ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারানোর পর শান্ত টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়িয়েছিলেন এবং তিনি ইতোমধ্যে বোর্ডকে জানিয়েছেন যে, এই দায়িত্বে ফেরার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ২৩ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের পর মিরপুরে শান্তর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন এবং তাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। তবে শান্ত তাতে সাড়া দেননি।একজন বোর্ড কর্মকর্তা জানান, তিনি (নাজমুল শান্ত) আপাতত নেতৃত্বে ফিরতে আগ্রহী নন এবং আমাদের তা জানিয়ে দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে শান্ত দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে টেস্ট দলের অধিনায়ক পদটি শূন্য। এখন বোর্ড নতুন অধিনায়কের খোঁজে রয়েছে।

জানা গেছে, বিসিবি বর্তমানে লিটন কুমার দাসকে এই দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবছে। বোর্ড এখন লিটনের সম্মতির অপেক্ষায় আছে। কারণ আগামী ১১ নবেম্বর থেকে সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে। অন্যদিকে বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ টেস্ট নেতৃত্বে আগ্রহ দেখালেও তার অধিনায়কত্বে দলের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। তার অধীনে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৩ ওয়ানডেতে মাত্র ৩টিতে জিতেছে। ফলে তার টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম।

বোর্ডের ভেতরে অনেকে মিরাজের বর্তমান অধিনায়কত্ব নিয়েও পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিচ্ছেন, যেহেতু জুন তার এক বছরের মেয়াদ আগামী জুনে শেষ হবে। ওয়ানডে অধিনায়কত্ব মিরাজকে দেয়ার সময় বিসিবি ঘোষণা করেছিল, তারা তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক রাখতে চায়। তবে এই নীতি পরিবর্তন হতে পারে। বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সম্প্রতি বলেছেন, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক থাকা বাধ্যতামূলক নয়। কেউ তিনটি ফরম্যাটেই নেতৃত্ব দিতে পারে, কেউ দুইটিতে বা একটিতে। সবকিছু দলের স্বার্থ বিবেচনা করেই নির্ধারিত হবে।

তবে যদি বিসিবি আগের নীতিতেই থাকে, তাহলে বিকল্প হিসেবে টেস্ট দলের নেতৃত্বে বিবেচনায় আছেন তাইজুল ইসলাম ও মুমিনুল হক। তাইজুল ইতোমধ্যে টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, আর মুমিনুল জানিয়েছেন বোর্ড চাইলে তিনি আবারও টেস্ট অধিনায়কত্ব নিতে রাজি।