আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল হাসান জয়ের পর সেঞ্চুরি করলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ১১২ বলে দেখা পেলেন ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরির। কিন্তু এরপরই মাঠ ছেড়ে গেছেন সাজঘরে।

অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের বলে সুইপ করে বল পেছনে পাঠিয়ে দুইবার প্রান্ত বদল করে সেঞ্চুরি আদায় করে নেন তিনি। এরপরই চিরচেনা হেলমেট খুলে লাফিয়ে ওঠা উদযাপন। ইনিংসটি সাজান ১৪ চারে। সেই ম্যাকব্রাইনের বলেই বরাবর ১০০ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফিরলেন সাজঘরে। ফলে উদযাপন স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে এই সিলেটেই ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০৫ রানের ইনিংস। সেই সিলেটে এসেই করলেন ক্যারিয়ারের অস্টম সেঞ্চুরি। সবশেষ ৩ টেস্টের ৫ ইনিংসে এটি তার তৃতীয় শতক। গত জুনে শ্রীলঙ্কার গলে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো দুই ইনিংসেই শতক হাঁকান শান্ত। সেই সিরিজ শেষে দেন লাল বলে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা। কিন্তু তাকেই আবার অধিনায়ক করেছে বিসিবি। অধিনায়ক হিসেবে ফেরাটাও রাঙালেন তিনি দারুণ সেঞ্চুরিতে। তবে সেঞ্চুরির পরই আউট হয়ে যাওয়াটা হতাশাজনক অবশ্যই তার জন্য। চতুর্থ দিনের শুরুতে দ্বিশতকের অপেক্ষায় থাকা মাহমুদুল হাসান জয় ১৭১ রানে ফিরে যান। ৮২ রান করে শতক হাতছাড়া করেন মুমিনুল হক। ২৩ রান করে আউট হন ৯৯তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম।

এরপর লিটন ৯৮ রানের জুটি গড়েন শান্তর সঙ্গে। ৬৬ বলে ওয়ানডে মেজাজে ৬০ রান করে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরলে ৫২৩ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশের লিড পায় ৩০১ রানের। জবাব দিতে নেমে ৫ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে আয়ারল্যান্ড। এখনও তারা পিছিয়ে ২১৫ রানে। অর্থাৎ সফরকারীরা অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে বাংলাদেশ এই টেস্টে ইনিংস জয়ের পথেই আছে।