DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

ক্রিকেট

নাঈম শেখের সেঞ্চুরি

দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে প্রাইম ব্যাংকের জয়

প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। গতকাল প্রাইম ব্যাক ১৭৩ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। নাঈম শেখের সেঞ্চুরিসহ ঝড়ো ১৭৬ রানের দিনে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রেকর্ড সংগ্রহ ছিল প্রাইম ব্যাংকের।

স্পোর্টস রিপোর্টার
Printed Edition
Default Image - DS

প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। গতকাল প্রাইম ব্যাক ১৭৩ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। নাঈম শেখের সেঞ্চুরিসহ ঝড়ো ১৭৬ রানের দিনে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রেকর্ড সংগ্রহ ছিল প্রাইম ব্যাংকের। স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল ৪২২ রান। ব্রাদার্সের বিপক্ষে ১৭৩ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে তারা। দুর্ভাগ্য আইচ মোল্লার। ৯৬ রানে আউট হয়েছেন তিনি। উড়ন্ত শুরুর পর তাণ্ডব চালালেন নাঈম শেখ। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে করলেন দেড়শর বেশি রান। সঙ্গে ফিফটির দেখা পান সাব্বির হোসেন ও সাজ্জাদুল হক। ব্যাটারদের এমন নৈপুণ্যে দেশের ইতিহাসে প্রথমবার চারশ’ ছাড়ানো সংগ্রহ আসে।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪২২ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ডিপিএলের পাশাপাশি বাংলাদেশের মাঠে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই দলীয় সর্বোচ্চ রান। দেশের মাঠে এর আগের রেকর্ডটি ২০২২ সালের। চট্টগ্রামে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করেছিল ভারত। আর ডিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯৩ সংগ্রহের রেকর্ড আবাহনীর। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সাব্বির ও নাঈম প্রাইম ব্যাংককে এনে দেন উড়ন্ত শুরু। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ১১০ বলে যোগ করেন ১৪০ রান। ৪৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে সাব্বিরের বিদায়ের পর ভাঙে এই জুটি। ৬৩ বলে ৭৩ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তিনে নেমে জাকির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। চারে নামা শাহাদাতও দ্রুত বিদায় নেন। তবে লড়তে থাকেন নাঈম। ৩৮ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে তিনি ৮২ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। শতক পূর্ণ করেও থামেননি নাঈম। পরের ২৪ বলে দেড়শ’ স্পর্শ করে সংগ্রহ বাড়াতেই থাকেন। তবে দুইশর ঘরে যেতে পারেননি। সালাউদ্দিন শাকিলের শিকার হয়ে ফেরেন ১৭৬ রানে। তার ১২৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৮ চার ও ৮ ছক্কায়। শেষদিকে জড়ো ব্যাট চালান আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে সাজ্জাদুলকে নিয়ে ৮৪ রান যোগ করেন। ২২ বলে ৪০ রান করে মামুন বিদায় নিলেও সাজ্জাদুল টিকে থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৩৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি।