তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। গতকাল বৃষ্টি বিঘ্নিত সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ড ৪৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে- ৭৩ রানে ও ৮৪ রানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী হয়েছে কিউইরা। এর আগে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দুই ম্যাচের এবং ২০১৮ সালে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ডান-হাতি পেসার বেন সিয়ার্সের বোলিং নৈপুণ্যে সহজে জয় পায় দলটি। সিয়ার্স ৩৪ রানে ৫ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের প্রথম বোলার হিসেবে টানা দুই ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নিলেন সিয়ার্স। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বৃষ্টির কারণে প্রায় দুই ঘন্টা পর শুরু হওয়া সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ৪২ ওভারে নির্ধারিত হয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ বলে ৭৮ রান যোগ করেন ওপেনার রাইস মারিউ ও হেনরি নিকোলস। মারিউ ৫৮ ও নিকোলস ৩১ রানে আউট হন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি করেন ড্যারিল মিচেল ও টিম সেইফার্ট। মিচেল ৪৩ ও সেইফার্ট ২৬ রানে আউট হন। ইনিংস বিবেচনায় নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্রুত ২ হাজার রানের রেকর্ড গড়ে মিচেল। দলীয় ১৮৬ রানের মধ্যে সেইফার্ট ও মিচেলের আউটের পর নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা ঘুরিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল। ১টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৪০ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এতে ৪২ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৪ রান করে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের পেসার আকিফ জাভেদ ৬২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। জবাবে ৫ রান করে তৃতীয় ওভারে আহত অবসর নেন ওপেনার ইমাম উল হক। নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডারের থ্রোতে বল আঘাত হানে ইমামের মুখে। এরপর ৮৩ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও বাবর আজম। ৩৩ রানে শফিক আউট হলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৭তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে থামেন বাবর। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৮ বলে ৫০ রান করেন বাবর। দলীয় ১০৮ রানে বাবরের আউটের পর বড় ইনিংস খেলতে পারেনি পাকিস্তানের কোন ব্যাটার। সিয়ার্সে তোপে ৪০ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩৭ ও তায়েব তাহির ৩৩ রান করেন। বল হাতে ৯ ওভারে ৩৪ রানে ৫ উইকেট নেন সিয়ার্স। ৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৪০ বলে ৫৯ রান ও ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ব্রেসওয়েল। ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন সিয়ার্স। ওয়ানডের আগে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : নিউজিল্যান্ড : ৪২ ওভারে ২৬৪/৮ (মাইকেল ব্রেসওয়েল ৫৯, রাহিস মারিউ ৫৮, ড্যারেল মিচেল ৪৩; আকিফ জাভেদ ৪/৬২, নাসিম শাহ ২/৫৪)

পাকিস্তান : ৪০ ওভারে ২২১/১০ (বাবর আজম ৫০, মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩৭, তায়িব তাহির ৩৩; বেন সিয়ার্স ৫/৩৪, জ্যাকব ডাফি ২/৪০)

ফল : নিউজিল্যান্ড ৪৩ রানে জয়ী

সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ তে জয়ী নিউজিল্যান্ড

ম্যাচসেরা : মাইকেল ব্রেসওয়েল (৫৯ রান ও ১ উইকেট)

সিরিজসেরা : বেন সিয়ার্স (১০ উইকেট)।