মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। দুই ব্যাটসম্যানের জোড়া সেঞ্চুরির ফলে বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে ৪৭৬ রান। এই ইনিংসের মাধ্যমে তারা ব্যক্তিগত রেকর্ড ছাড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে।

মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে নাজমুল হোসেন শান্তের নেতৃত্বাধীন দল ৪ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে মুশফিক অপরাজিত ৯৯ রানের অবস্থা থেকে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এভাবে শততম টেস্টে শতক হাঁকানো বিশ্বের মাত্র ১১তম ব্যাটার হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। মুশফিকের ১০৬ রানের পর লিটনের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি থেমেছে ১২৮ রানে। এ ছাড়া মুমিনুল হক করেন ৬৩ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৭ রান।

বাংলাদেশ ইতিহাসে তিনটি ধারাবাহিক উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়ার কীর্তি গড়েছে, যা আগে কেবল দুই দেশের পক্ষেই ঘটেছিল—ভারত (১৯৭৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) এবং পাকিস্তান (২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে চতুর্থ উইকেটে মুশফিক-মুমিনুল ১০৭, পঞ্চম উইকেটে মুশফিক-লিটন ১০৮ এবং ষষ্ঠ উইকেটে লিটন-মিরাজ ১২৩ রান যোগ করে।

মুশফিক-লিটনের জুটি বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ সপ্তমবার ১০০ রানের বেশি যোগ করেছে। প্রথম দিনে শুরু হওয়া জুটিতে মুশফিক ২১৪ বলে ৫ চারের সাহায্যে ১০৬ রান করেন। লিটনের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি বাংলাদেশের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি সম্পন্ন করেন।

এরপর লিটন-মিরাজ জুটি গড়ে। লিটনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আগস্টের পর প্রথম সেঞ্চুরি। মিরাজ ৪৭ রান করে আউট হন। লিটনও দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ১৯২ বলে ১২৮ রানে থেমে যান, ৮ চার ও ৪ ছক্কায়। শেষদিকে এবাদত ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৪৭৬ রানে অলআউট হয়।

আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেন স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। ম্যাথু হাম্প্রিস ও গ্যাভিন হোয়ে দুটি করে উইকেট নেন।