বাংলাদেশ জাতীয় বেসবল দল ইতিহাসের সেরা লড়াই করেছে ওয়েস্ট এশিয়া কাপে। ইরানের কারাজে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট এশিয়া বেসবল কাপে তাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। ১৬ মে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের। সীমিত প্রস্তুতি ও মাত্র ১২ সদস্যের ছোট দল নিয়েও বাংলাদেশ দল লড়াই করেছে পুরো সময়।প্রথম ৩ ইনিংসেই ম্যাচটি রোমাঞ্চ ছড়ায়। পাকিস্তান যেখানে ছিল পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড ও শক্তিশালী কৌশলের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে বাংলাদেশ দল ৬-৮ রানে পিছিয়ে থেকেও ধারাবাহিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় রাখে। সপ্তম ইনিংস পর্যন্ত ম্যাচটি ছিল সমানে সমানে। দুর্ভাগ্যবশত রাতের ফ্লাডলাইট সমস্যার কারণে খেলা সপ্তম ইনিংসেই ৬-১০ স্কোরে থেমে যায় এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। আলো না থাকার কারণে আর ইনিংস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।বাংলাদেশ দল এবার মাত্র ১২ জন খেলোয়াড় এবং সীমিত প্রশিক্ষণ প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। স্পন্সর সঙ্কট ও লজিস্টিক জটিলতার মধ্যেও বাংলাদেশ দল তাদের সাহসিকতা, মনোবল এবং আন্তর্জাতিক মানের পারফরম্যান্সের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলাদেশের সাহসিক ও পরিশ্রমী পারফরম্যান্স ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বেসবল অঙ্গনে প্রশংসার জোয়ারে। অনেকেই এই তরুণ দলকে ভবিষ্যতের দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ১৫ মে স্বাগতিক ইরানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ৫ ইনিংস শেষে ৫-২ রানে এগিয়ে ছিল। তবে ৯ ইনিংস শেষে ম্যাচটি ৬-৬ রানে সমতায় পৌঁছায়। শেষ ইনিংসে একটি বিতর্কিত আম্পায়ারিং সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ হেরে যায়। স্পষ্টভাবে ব্যাটার সুইং স্ট্রাইক করলেও, আম্পায়াররা এটি ব্যাটারের শরীরে আঘাত দেখিয়ে ডেড বল ঘোষণা করেন, যা বেসবলের নিয়ম অনুযায়ী সঠিক নয়। বেসবলের নিয়ম অনুযায়ী, খেলা চলাকালীন ১০ মিনিটের মধ্যে প্রতিবাদ আবেদন করতে হয়। বাংলাদেশ দলের প্রতিবাদ আবেদন সময়মতো হলেও, তা বিলম্বিত এবং আপিলের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। যা নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন। আগামী ১৯ ও ২০ মে বাংলাদেশের বাকি দুটি ম্যাচের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। এবারের এশিয়া কাপে অংশ নিচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান ও স্বাগতিক ইরান।