শেষ পর্যন্ত শুরু হয়ে গেছে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে ভারত মিসাইল আক্রমণ করলে শুরু হয় যুদ্ধ। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয়। দু’পক্ষের আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা এখন চরমে। ভারত ও পাকিস্তানের এ যুদ্ধ শুধু দু’দেশেই স্থির থাকবে না। আশপাশেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই উত্তেজনা শুধু কূটনৈতিক নয়, প্রভাব ফেলছে মাঠের ক্রিকেটেও। বিশেষ করে বাংলাদেশের আসন্ন কয়েকটি সিরিজ ঘিরে দেখা দিয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা। কারণ এই যুদ্ধে ক্রিকেটীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই যুদ্ধের উত্তাপ-উত্তেজনা প্রশমিত না হলে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ক্রীড়া, শিক্ষা, সংস্তৃতি চর্চা বন্ধ থাকবে। দু’দেশ যেসব ক্রিকেট আসরে অংশ নেয়, সেই এশিয়া কাপ (আয়োজক ভারত, তবে প্রস্তাবিত ভেন্যু আরব আমিরাত এবং শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ১৮ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর) হওয়ার সম্ভাবনাও চলে গেছে শূন্যের কোটায়। অবশ্য ভারত আগেই জানিয়ে রেখেছিল, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ বা কোনো টুর্নামেন্ট খেলবে না। সেখানে সরাসরি যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সঙ্গে খেলায় অংশ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কাজেই ধরেই নেওয়া যায়, এবারের এশিয়া কাপের ভাগ্য পুরোপুরি অনিশ্চিত। এছাড়া পাক-ভারত যুদ্বের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্রিকেট। ওই দুই দেশের সঙ্গে আশপাশের দেশগুলোর ক্রিকেট সিরিজ হয়ে উঠবে অনিশ্চিত। এমন যুদ্ধ চলতে থাকলে আর খেলা অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সব চেয়ে বিপাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বাংলাদেশ। কারণ আগামী মে মাসেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা। সূচিও চূড়ান্ত। আগামী ২৫ ও ২৭ মে ফয়সালাবাদে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই টি- টোয়েন্টি হওয়ার কথা। তারপর ৩০ মে এবং ১ ও ৩ জুন লাহোরে বাকি তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে।
ক্রিকেট
পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে অনিশ্চিত বাংলাদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ
শেষ পর্যন্ত শুরু হয়ে গেছে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে ভারত মিসাইল আক্রমণ করলে শুরু হয় যুদ্ধ। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয়। দু’পক্ষের আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা এখন চরমে।