২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। এ মাসের শেষে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হাইব্রিড মডেলে মাঠে গড়াচ্ছে আসরটি। আসন্ন নারী বিশ্বকাপের জন্য রেকর্ড প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগের আসরের তুলনায় এবার প্রাইজমানি বেড়েছে চার গুণ, যা পুরুষদের সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়েও বেশি।

কোনো ম্যাচ না জিতলেও অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল পাবে তিন কোটি টাকা। আইসিসি জানিয়েছে, নারী ক্রিকেটে বিনিয়োগ বাড়ানো ও তাদের পেশাদারিত্বে উৎসাহিত করতেই এ সিদ্ধান্ত। সংস্থাটির চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ‘এই ঘোষণা নারী ক্রিকেটের যাত্রায় এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের সমানভাবে দেখা আমাদের দায়িত্ব।’

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত পুরুষদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রাইজমানি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার (১২১ কোটি টাকা)। আর এবারের নারী বিশ্বকাপে থাকছে ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার (১৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা)। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে হওয়া নারী বিশ্বকাপে প্রাইজমানি ছিল মাত্র ৩.৫ মিলিয়ন ডলার, বর্তমান বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪২ কোটি টাকা।

এবার প্রতিটি দেশ অংশগ্রহণ বাবদ নিশ্চিতভাবে পাচ্ছে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় তিন কোটি টাকা)। বাংলাদেশও তাই বিশ্বকাপে কোন ম্যাচ না জিতলেও অন্তত এই অর্থ পাচ্ছে। এছাড়া সপ্তম ও অষ্টম দল পাবে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, পঞ্চম ও ষষ্ঠ দল ৭ লাখ ডলার করে। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি জয়ের জন্য থাকছে আরও ৩৪ হাজার ৩১৪ ডলার। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলো পাবে ১.১২ মিলিয়ন ডলার করে, যা আগেরবারের তুলনায় ২৭৩ শতাংশ বেশি।

ফাইনালে হেরে যাওয়া দল এবার পাবে ২.২৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৭ কোটি টাকা)। আর শিরোপাজয়ী দল পাবে ৪.৪৮ মিলিয়ন ডলার (৫৪ কোটি টাকা), যা গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় ২৩৯ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড- এই আট দল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে লড়বে। প্রথম রাউন্ডে ২৮, সঙ্গে দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ মোট ৩১ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসরে। খেলাগুলো হবে মোট পাঁচটি ভেন্যুতে- কলম্বো, ডিওয়াই পাতিল, ইন্দোরের হোলকার, গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া ও বিশাখাপত্তনমের ওয়াই এস রাজাশেখর রেড্ডি স্টেডিয়ামে।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটিতে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ।