এশিয়া কাপের নবম শিরোপা জয়ে ভারতের প্রয়োজন ১৪৭ রান। টুর্নামেন্টের ১৭তম আসরের ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ওপেনিং জুটি ভাঙার পর খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা।

ইনিংসের শুরুটা যতোটা ভালো ছিল, ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ঢের বেশি খারাপ করে পাকিস্তান।

৯.৪ ওভারে ৮৪ রান করা পাকিস্তান; এরপর ৫৭ বলে মাত্র ৬২ রানের ব্যবধানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে গুঁটিয়ে যায়।

ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। পাকিস্তানের এই তরুণ ওপেনার ৩৫ বলে ফিফটি হাঁকান।

৯.৪ ওভারে দলীয় ৮৪ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৮ বলে ৫টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ রান করেন ফারহান। তার ব্যাটিং তাণ্ডবের কারণেই উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান। ফখর জামানের সঙ্গে ৫৮ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।

বরুণ চক্রবর্তীর আগের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলেও বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচে পরিনত হন ফারহান।

এরপর পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন। দলীয় ১১৩ রানে কুলদীপ যাদবের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাইম আইয়ুব। একরান ব্যবধানে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। তিনি অক্ষর প্যাটেলের বলে বিভ্রান্ত হন।

দলীয় ১২৬ রানের ফেরেন ওপেনার ফখর জামান। তিনি বরুন চক্রবর্তীর বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বলে দুই চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ রানে ফেরেন ফখর।

১৩১ রানে ফেরেন হাসান তালাত। তিনি ২ বলে মাত্র ১ রান করে অক্ষর প্যাটেলের শিকারে পরিণত হন। অধিনায়ক আগা সালমানকে ফেরান কুলদীপ। তিনি ৭ বলে মাত্র ৮ রানে ফেরেন।

দলীয় ১৩৪ রানে ফেরেন পেস বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। কুলদীপ যাদবের করা ১৭তম ওভারের শেষ বলে আউট হন ফাহিম আশরাফ।

১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে ফেরেন হারিস রউফ। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথমে বল মোহাম্মদ নওয়াজকে ফেরান জসপ্রিত বুমরাহ।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত।

এশিয়া কাপে এই প্রথম ফাইনালে দেখা হয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। ঐতিহাসিক এই লড়াইয়ে শিরোপা জিতেই ঘরে ফিরতে চায় দুই দল।

তবে দুই দলের ক্রিকেটীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের রেকর্ড ভালো।

এর আগে বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। আট বার জিতেছে পাকিস্তান। ভারত জিতেছে চার বার।

সবশেষ ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। সেবার ভারতকে ১৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।