ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। দ্ইু দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েকবার গোলাগুলির খবরও পাওয়া গেছে। এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। সীমান্তবর্তী দুই দেশের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ভারতকে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ক্রিকেটে। এর বাইরে নয় বাংলাদেশ ক্রিকেটও। ফলে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনাকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আগস্টে ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ফরমেটের সিরিজ খেলতে আগামী আগস্টে বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। তবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনাকে ঘিরে দেশটিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে ভারত ক্রিকেট দলকে পাঠাতে চায় না বিসিসিআই। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে আসন্ন এই সিরিজ খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সূত্রে টাইম অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ‘ভারত ক্রিকেট দলের এই সফরটি পূর্বনির্ধারিত সূচির অংশ। কিন্তু এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে ভারতের বাংলাদেশ সফরে না যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।’ পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগস্টের সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল এই সিরিজের সূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর মধ্যদিয়ে এবারই প্রথম বাংলাদেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল ভারতের। তবে প্রতিবেশী দেশটিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এই সফর নিয়ে এখন ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যায় না ভারত। এবার রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের বাংলাদেশেও না পাঠানোর চিন্তা করছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। রাজনৈতিক কারণে ভারতের সিরিজ কিংবা ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ ২০২৫ আসরকেও ক্ষতিগ্রস্থ করবে বলে ধারণা করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। কেননা আগামী সেপ্টেম্বরে এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। ভারত যেহেতু পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলতে যায় না, তাই সম্পূর্ণ টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে হওয়া সম্ভব নয়। একই কারণে ভারতও এককভাবে আয়োজক হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে। ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টির মধ্যে ভালো সমাধান হতো পারতো বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু ভারতীয় দল যদি বাংলাদেশ সফরও বন্ধ করে দেয়, তাহলে নিরপেক্ষ ভেন্যু খুঁজে বের করাই কঠিন হয়ে যাবে। তবে বিসিবি পরিচালক ও বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদিন বললেন, সফর নিয়ে শঙ্কার কোনো কিছুই তাদের জানা নেই। “ভারতীয় দল সফরে নাও আসতে পারে, এই ধরনের কোনো আভাস বা ইঙ্গিত আমরা পাইনি। দুই দেশের বোর্ডের সম্পর্ক চমৎকার ও অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। আমাদের বিশ্বাস, সফরটি ভালোভাবেই সম্পন্ন হবে।” কোনো সিরিজের সূচি চূড়ান্ত করা হয় দুই দেশের বোর্ডের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই। সব প্রক্রিয়া ঠিকভাবেই চলছে বলে জানালেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান। “সূচি ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কিছু দিন আগেই এবং যতটুকু যোগাযোগ রাখা দরকার, সবকিছুই হচ্ছে।”
ক্রিকেট
ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা
ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। দ্ইু দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েকবার গোলাগুলির খবরও পাওয়া গেছে। এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। সীমান্তবর্তী দুই দেশের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ভারতকে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ক্রিকেটে।