এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। আসরে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে অপরাজিত ভারত। রেকর্ড নবমবারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়তে মুখিয়ে আছে সূর্যকুমার যাদবরা। অন্যদিকে, গ্রুপপর্ব ও সুপার ফোরে অনেক নাটকীয়তার পর শিরোপার মঞ্চে পাকিস্তান। কার্যত সেমিফাইনালে রূপ নেওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১ রানের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে সালমান আলি আগারা। পাকিস্তানের লক্ষ্য ১৩ বছর পর এশিয়া কাপের শিরোপার স্বাদ নেওয়া। অবশ্য আসরে এরই মধ্যে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। দুইবারই হেরেছে পাকিস্তান। দুটি ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে তেমন প্রতিরোধই গড়তে পারেনি তারা। তাই পাকিস্তানকে এখন আর ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’ বলে মনেই করছেন না বলে অকপটেই জানিয়েছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তবে ভারতের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতে পারে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে দু’বার হারিয়েছে ভারত। তারপরও ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের জন্য মাঠে নামবে পাকিস্তান। ফাইনালে ভারতের দূর্বল জায়গার আঘাত করতে চায় তারা। অবশ্য ফাইনালের আগে কিছু জায়গায় স্বস্তি মিলতে পারে সালমান-শাহিনদের। ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব একেবারেই ফর্মে নেই। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও রান পাননি। শেষ তিন ম্যাচে করেছেন মাত্র ১৭ রান। যেটা নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখবে টিম ইন্ডিয়ার থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে। এরই মধ্যে অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে মারকুটে ওপেনার অভিষেক শর্মা ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার চোট। এশিয়া কাপে ভারতকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ক্যাচ মিস। চার-চারটি ক্যাচ মিস হয় সুপার ফোরের ম্যাচে। এদিকে, বোলিং নিয়েও আছে দুশ্চিন্তা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। ছিলেন না শিবাম দুবেও। সুযোগ পেয়েছিলেন হার্ষিত রানা ও আর্শদীপ সিং। এর মধ্যে প্রথমজনকে নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। লাইন-লেংথের কোনও ঠিকানা নেই। হর্ষিত কোনটা বাউন্সার, কোনটা শর্টপিচ দেবেন, তা যেন বল করার আগেই বোঝা যাচ্ছিল। একা পাথুম নিশঙ্কাই ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কুলদীপ যাদবরা সঠিক সময়ে জ্বলে না উঠলে সেটা হয়েও যেত। শ্রীলংকার বিপক্ষে রান পেয়েছেন সঞ্জু স্যামসন ও তিলক বার্মা। আশ্চর্যজনকভাবে দুজনের ব্যাটিং পজিশন নিয়েই যত পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ম্যাচে তিলক খেলেন ৭ বল। সঞ্জু ব্যাট করার সুযোগই পাননি। আর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সঞ্জু ৩৯ রান করেন। তিলক অপরাজিত থাকেন ৪৯ রানে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতলেও এলোমেলো ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভারত কেন এত পরীক্ষানিরীক্ষা করছে, কেনই বা ব্যাটারদের সঠিক অর্ডার অনুযায়ী খেলানো হচ্ছে না? এসব নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে।
ক্রিকেট
ফাইনালে ভারতের দুর্বল জায়গায় আঘাত হানতে চায় পাকিস্তান
এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। আসরে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে অপরাজিত ভারত। রেকর্ড নবমবারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়তে মুখিয়ে আছে সূর্যকুমার যাদবরা।
Printed Edition
