আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে এই সিরিজটি ডিআরএস বিহীন খেলতে হতে পারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম। যদিও ডিআরএস না থাকা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। এর আগে ভারতের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি শেষে পুনরায় পিএসএলের বাকি অংশ শুরুর পর আর ডিআরএস প্রযুক্তি পাওয়া যায়নি। ওই সময় কোনো কারণ জানায়নি পিসিবি, তবে ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর জানায়, সংঘাতের জেরে এই মাসের শুরুতে স্থগিত করা পিএসএল পুনরায় শুরুর পর প্রযুক্তি সরবরাহকারী হক-আই দল পাকিস্তানে ফেরেনি। এর আগে স্থগিত পিএসএল আসর পুনরায় শুরুর ক্ষেত্রে বড় ধরনের লজিস্টিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় আয়োজকদের। এর মধ্যে মুলতানের একটি ম্যাচ লাহোরে সরিয়ে নেওয়া হয়, যাতে ভ্রমণ কমানো যায় ও ক্যামেরা সরঞ্জাম স্থানান্তর করা যায়। ডিআরএস না থাকলেও, অবশ্য পিএসএলের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে সেভাবে বিতর্ক তৈরি হয়নি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মাধ্যমে আরও নিখুঁত ফলাফল পাওয়ার লক্ষ্যে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) একটি কার্যকরী পদ্ধতি। বর্তমানে ক্রিকেট ম্যাচ আরও স্বচ্ছভাবে পরিচালনার জন্য নিত্যনতুন প্রযুক্তির আগমন ঘটছে। এদিকে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সিরিজে বল ট্র্যাকিং, আলট্রা এজ প্রযুক্তি না থাকায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে উভয় দলকে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ বলছে, ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহারের মতো প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল স্টাফ এই মুহূর্তে পাকিস্তানে নেই। সে কারণে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ২৮ মে, ৩০ মে ও ১ জুন হতে যাওয়া সিরিজে এই প্রযুক্তি থাকছে না। বিষয়টি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দলকেও জানানো হয়েছে। অথচ বর্তমান আধুনিক ক্রিকেটে এই প্রযুক্তি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ডিআরএস না থাকায় খেলার স্বচ্ছতা ও নিখুঁত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। উভয় দলকেই তাই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের ওপর সন্তুষ্ট থাকতে হবে। সিরিজ শুরুর একদিন আগে গতকাল ট্রফি উন্মোচন ও অধিনায়কদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করবে পিসিবি।