ক্রিকেট
অগ্রণী ব্যাংককে হারিয়ে গাজী গ্রুপের জয়
প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ। গাজী গ্রুপ ৪ উইকেটে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংককে। মিরপুর স্টেডিয়ামে অগ্রণী ব্যাংকের ইমরুল কায়েস ও অমিত হাসান ঝলক দেখালেও বাকিরা ছিলেন ব্যর্থ। মাত্র ২১৬ রানের পুঁজি নিয়ে
Printed Edition
প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ। গাজী গ্রুপ ৪ উইকেটে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংককে। মিরপুর স্টেডিয়ামে অগ্রণী ব্যাংকের ইমরুল কায়েস ও অমিত হাসান ঝলক দেখালেও বাকিরা ছিলেন ব্যর্থ। মাত্র ২১৬ রানের পুঁজি নিয়ে তারা দাঁড়াতে পারেনি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সামনে। তোফায়েল আহমেদ ও সাদিকুর রহমানের ব্যাটে জয়ের ভিত গড়ে ফেলে গাজী গ্রুপ। যদিও বল হাতে লড়েছিল অগ্রণী ব্যাংক। ৪৭.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ২২০ রান করে গাজী গ্রুপ। ১৪ বল হাতে রেখে চার উইকেটে জয় পেয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অগ্রণী ব্যাংক ১০ রানে ২ উইকেট হারায়। ইমরুল ও অমিত মিলে ৮৮ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামলান। ইমরুল ৬১ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৫০ রানে থামেন। এরপর তাইবুর রহমানকে নিয়ে ৬১ রান যোগ করেন অমিত। মাত্র ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি তার। ১১১ বলে ১০ চারে ৮৯ রান আসে অমিতের ব্যাটে। এই জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাটিং লাইন। ৪৬.২ ওভারে ২১৬ রানে অলআউট হয় তারা। আব্দুল গাফফার সাকলাইন সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি করে পান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও তোফায়েল। দলীয় ২ রানে ওপেনার ও অধিনায়ক বিজয় ডাক মারলেও পথ হারায়নি গাজী গ্রুপ। ১০৭ রানের জুটি গড়েন সাদিকুর ও তোফায়েল। দুজনেই ফিফটি হাঁকান। তোফায়েল ৬৪ বলে ৫২ রানে ফিরে গেলে সাদিকুর ও শামসুর দাঁড়িয়ে যান। তারা ৫৪ রান যোগ করেন। ১১ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাদিকুর। ৯৬ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ে ৮৯ রান করেন এই ওপেনার। এরপর দ্রুত সালমান হোসেন ও আমিনুল ইসলাম আউট হলেও শামসুরের ৩৮ রানের ইনিংসে জয় তরান্বিত হয়। জয় থেকে ৯ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। শেখ পারভেজ জীবন ১৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান। রুয়েল মিয়া ও রবিউল হক অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন। অলরাউন্ড পারফর্ম করে ম্যাচসেরা হয়েছেন গাজী গ্রুপের তোফায়েল।