আগামী আগস্টে বাংলাদেশ সফর করার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। কিন্তু এই সফর ইতোমধ্যেই স্থগিত করেছে তারা। মূলত ব্যস্ত সূচির কারণ দেখিয়ে পরবর্তী এই সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সফর স্থগিতে ব্যস্ত সূচির কথা বলা হলেও এবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বৈঠকে যোগ দিতেও আপত্তি জানিয়েছে ভারত। ইতোমধ্যেই ভেন্যু পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছে বিসিসিআই। ভেন্যু পরিবর্তন না হলে এই সভা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে পারে ভারত। আগামী ২৪ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এসিসির এই সভা। যেখানে আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হতে পারে।প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী এশিয়া কাপ মাঠে গড়াতে পারে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে। টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ সফর এখন উপযুক্ত নয়। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে ভেন্যু পরিবর্তনের অনুরোধ করেছি।’ এদিকে বাংলাদেশে ভারতের সফর এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেয়ায় সেই সুযোগে এবার ফাঁকা সূচি কাজে লাগাতে চায় শ্রীলংকা। আগস্ট মাসে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)-এর কাছে একটি সংক্ষিপ্ত সাদা বলের সিরিজ আয়োজনের অনুরোধ করেছে লংকান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। এই প্রস্তাবটি এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সফর বাতিল হওয়ার পরপরই। বিসিসিআই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া না দিলেও, সিরিজটি অনুষ্ঠিত হলে আগামী মাসে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মাঠে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে -যারা বর্তমানে তিনটি ফরম্যাটের মধ্যে শুধু ওয়ানডেতেই খেলছেন। এসএলসি তিনটি ওয়ানডের সঙ্গে সমসংখ্যক তিনটি টি-টোয়েন্টি আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। যা মূলত বাংলাদেশ সফরের জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে অনেক কিছুই নির্ভর করছে এশিয়া কাপ নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের ওপর। যা নিয়ে আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে বিভিন্ন অংশীজন। ক্রিকবাজকে বিসিসিআইয়ের এক সূত্র বলেছেন, ‘এসএলসি থেকে একটি অনুরোধ পেয়েছি, কিন্তু এখনও আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। এশিয়া কাপের পরিস্থিতি দেখতে হবে। সবকিছুই একে অপরের সঙ্গে জড়িত।’ যদিও এর মানে এই নয় যে, এশিয়া কাপ এবং শ্রীলংকা সিরিজ একসঙ্গে হতে পারবে না। তবে বিসিসিআই স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড় ও কোচদের সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিতে চায়।

বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া এই সপ্তাহে লন্ডনে লর্ডস টেস্টে থাকবেন এবং সেই সময় বা ম্যাচের পর খেলোয়াড়, প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর ও প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকারের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনা শেষে এসএলসি-র অনুরোধে সাড়া দিতে পারে বিসিসিআই।