জয়ের খুব কাছে গিয়েও শ্রীলংকাকে হারাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকা জয় পেয়েছে ৭ রানে। নাটকীয় ম্যাচের শেষটা এতোটা রঙিন হবে তা কেউ ভাবতেও পারেনি। হারারেতে দুই দলের প্রথম ওয়ানডেপশ শ্রীলংকার করা ২৯৮ রানের জবাব জিম্বাবুয়ে দিচ্ছিল সিকান্দার রাজার ব্যাটে। তার ৮৬ বলে ৯২ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৯ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৯ রান তুলে নেয় স্বাগতিকরা। শেষ ৬ বলে দরকার ১০ রান। উইকেটে সিকান্দার রাজার সঙ্গে ৪২ রান করা টনি মুনইয়ঙ্গা। লঙ্কানরা জয়ের আশা ছেড়েই দিয়েছিল হয়তো। কিন্তু সব হিসেব পাল্টে দিলেন মাদুশঙ্কা। বাঁহাতি পেসার শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে তুলে নেন তিন উইকেট। নায়কের ভূমিকায় থাকা সিকান্দার রাজাকে দিয়ে শুরু। এরপর ইভান্স ও এনগাভারার উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের লোয়ার মিডল অর্ডার নাড়িয়ে দেন। শেষ ৩ বলে দরকার ১০ রান। ২ রানের বেশি নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৭ রানের জয় তুলে নেয় শ্রীলংকা। হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট নিয়ে এই জয়ের নায়ক মাদুশঙ্কা। দুই ম্যাচ সিরিজে তারা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। রাজা ৮ চারে ৯২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এর আগে বেন কারান ৭০, শন উইলিয়ামস ৫৭ রান করেন। টনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে। মাদুশঙ্কা ৬২ রানে নেন ৪ উইকেট। ৫০ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন আশিথা ফার্নান্দো। এর আগে জিম্বাবুয়ের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে পাথুম নিশাঙ্কা। ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন জানিথ লিয়ানাগে। শেষ দিকে কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে ঝড় উঠে। ৩৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার এনগাভারা ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন। বড় লক্ষ্যেও জিম্বাবুয়ে দারুণ জবাব দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে ছিল। এক পর্যায়ে এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু মাদুশঙ্কার হ্যাটট্রিকে শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি তারা।