আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ফিফটি পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। যার মাধ্যমে তিনি একটি বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন। ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ফিফটি করেছেন বাংলাদেশি এই টেল-এন্ডার। পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন তানজিম সাকিব। নয় নম্বরে নেমে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিনি দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরিয়ান হলেও, টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিবেচনায় এই টাইগার ক্রিকেটারই প্রথম। এর আগে একই কীর্তি ছিল কেবল অস্ট্রিয়ার বোলিং অলরাউন্ডার হামিদ শাফির। মাত্র ১২ দিন আগে গত ১৭ মে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নয় নম্বরে নেমে টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করছিলেন হামিদ। তবে ক্রিকেটীয় পরিমন্ডল বিবেচনায় তানজিম সাকিবের কীর্তিটাই থাকবে সবার ওপরে। অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে ক্লাব এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মিলিয়ে নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ফিফটি করার ঘটনা ঘটেছে আরও ১৫ বার। বিপিএলেও আছে এই নজির। ২০১৬ সালে শ্রীলংকার সেকুগে প্রসন্ন বিপিএলে ৯ম ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে নেমে ফিফটি করেছিলেন। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস ছিল তাসকিন আহমেদের। গত বছর সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি সেই ইনিংস খেলেন। এখন তালিকার শীর্ষ নামটি তানজিম সাকিব। যদিও বাংলাদেশ এদিন সিরিজ হার নিশ্চিত করেছে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে। পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় টাইগাররা ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসটা এসেছে তানজিম সাকিবের ব্যাটে। নিজের ব্যাটিংয়ে সাফল্যের রহস্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন উইকেটে যাই, (মেহেদী হাসান) মিরাজ ভাই ব্যাটিং করছিল। আমার একটাই টার্গেট ছিল উনাকে সাপোর্ট দেবো। উনি যতক্ষণ মাঠে ছিল আমি চেয়েছি স্ট্রাইক রোটেট করব। মিরাজ ভাই আমাকে বলছিল, ‘তুই থাক, তুই থাকলে আমরা ম্যাচ বের করে নিয়ে আসতে পারব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা অনেকগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলি। ২০০ চেজ করতে গেলে ব্যাটারদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। ওপর থেকে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করলে আমি মনে করি ২০০ চেজ করা সম্ভব।’ সতীর্থ পেসারের চোট নিয়ে সাকিব বলেন, ‘শরিফুলের চোটের পর লিটন (দাস) ভাই বিষয়টা ভালোভাবে ম্যানেজ করেছেন। অকেশনাল বোলারকে ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। এত বেশি চিন্তিত ছিলেন না এটা নিয়ে। ব্যাটিংয়ে আমি চেষ্টা করেছি মিরাজ ভাইকে সাপোর্ট দিতে। হাসান (মাহমুদ) আসার পর বলেছি আমি বল স্লটে পেলে মারব। এটাই প্ল্যান ছিল।’ দ্রুত উইকেট হারানোর বিষয়টি দলকে ভুগিয়েছে বলেও দাবি এই পেসারের, ‘আমার মনে হয় ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারানো আমাদের ভুগিয়েছে। (পারভেজ হোসেন) ইমনের আউটের পর (তানজিদ হাসান) তামিমকেও হারিয়েছি আমরা। লিটন-(তাওহিদ) হৃদয় জুটি গড়ার চেষ্টা করেছে তবে আমরা লিটনকেও হারাই। হৃদয়ের উইকেটও হারিয়ে ফেলেছি। এভাবে ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারিয়েই আমরা ভেঙে পড়েছি।’