ক্রিকেট
প্রিমিয়ার ক্রিকেটে ৬ উইকেটে জয় পেল অগ্রণী ব্যাংক
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলছেন তরকা ক্রিকেটার লিটন দাস। দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে ১৪ রান করেছিলেন। সোমবার খেলেছেন ৬০ রানের ইনিংস।
Printed Edition
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলছেন তরকা ক্রিকেটার লিটন দাস। দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে ১৪ রান করেছিলেন। সোমবার খেলেছেন ৬০ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ভর করেই গুলশান ৪৯ ওভারে তুলেছে ২২২ রান। মাঝারি এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে লিটনের ৬০ রানকে ম্লান করে দিয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের দুই ব্যাটার অমিত হাসান ও ইমরানুজ্জামান। তাদের দু’জনের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ১২ বল আগে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছে অগ্রণী ব্যাংক। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গুলশান। দুই ওপেনার আজিবুল হাকিম তামিম (১২) ও জাওয়াদ আবরার (৩) শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন। ২২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট লিটন ও খালিদ হাসান মিলে ৭১ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন। খালিদ আউট হওয়ার পর লিটনও ফিরলে বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ৪৯ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে গুলশান ২২২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে। লিটন ৬২ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। এছাড়া বাকি ব্যাটারদের মধ্যে খালিদ (২৩), মঈনুল ইসলাম (২২), হাবিবুর শেখ মুন্না (২১), নিহাদুজ্জামান (১৯*) ও ইফতেখার হোসেন (১৮) রানের ইনিংস খেলেছেন।
অগ্রণী ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে আরিফ আহমেদ ২৮ রানে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া রুয়েল মিয়া ও রবিউল হক প্রত্যেকে নেন দুটি করে উইকেট। ২২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অগ্রণী ব্যাংক ৯ রানে হারায় সাদমান ইসলাম (০) ও ইমরুল কায়েসের (৩) উইকেট। যদিও তৃতীয় উইকেটে ইমরানুজ্জামান ও অমিত হাসান মিলে প্রতিরোধ গড়েন। তাদের ১৩৪ রানের জুটিতেই জয়ের পথটা তৈরি হয়ে যায়। ইমরানুজ্জামান ৯৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। ইমরানুজ্জামানের আউটের পর স্কোরবোর্ডে আরও ১০ রান যোগ হতেই ফেরেন অমিত। ৯৪ বলে ৫ চারে তিনি ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। এরপর বাকি পথটা মার্শাল আইয়ুব ও তাইবুর রহমানের অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটিতে ৪ উইকেট হারিয়ে পাড়ি দেয় অগ্রণী ব্যাংক। মার্শাল ৪০ ও তাইবুর ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। গুলশানের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান দুটি ও আজিজুল হাকিম একটি উইকেট নিয়েছেন।