ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে প্রথম ম্যাচে সাকিব অপরাজিত ৫৮ রানের পাশাপাশি নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো পারফরমেন্স করতে না পারলেও ঢুকে গেলেন একটি অনন্য ক্লাবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে (আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাগায়ানায় গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটে-বলে ব্যর্থতার দিনেও নতুন এক মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব করেন ১০ বলে ৭ রান আর বল হাতেইজি মিলিয়ে) ৭৫০০ রান ও ৪৫০ উইকেটের মালিক এখন সাকিব। এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৪৪৯ ম্যাচে। এত দ্রুত এই মাইলফলক ছোঁয়ার কৃতিত্ব নেই আর কারও। এই ক্লাবে এর আগে ছিলেন কেবল আন্দ্রে রাসেল, তবে তাকে খেলতে হয়েছিল ৪৯৮টি ম্যাচ। সাকিবের রেকর্ড স্পর্শের মুহূর্তটিও ছিল দারুণ নাটকীয়। আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে এই মাইলফলকে পৌঁছান সাকিব। ক্রিকেটবিশ্বে সেরা অলরাউন্ডার লড়াইয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাকিব ও নবী। সাকিবের সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় এক অর্জন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়ার দোরগোড়ায় এখন তিনি। এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন বোলার এই মাইলফল স্পর্শ করেছেন, তবে কেউই বাঁহাতি নন। সাকিবের উইকেট সংখ্যা এখন ৪৯৭। আর মাত্র তিনটি উইকেট পেলেই ইতিহাসের প্রথম বাঁহাতি বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের রেকর্ড গড়বেন তিনি। গ্লোবাল সুপার লিগে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে অন্তত দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে সাকিবের সামনে।