২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে বাংলাদেশকে র্যাংকিংয়ের সেরা নয়ে থাকতে মহবে। এই সময়সীমা ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজকের তৃতীয় ওয়ানডেসহ ২০২৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) অনুযায়ী কমপক্ষে ২১টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। অবশ্য তাদের হাতে যথেষ্ট ম্যাচ এবং সময় বাকি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই মেহেদী হাসান মিরাজদের সামনে র্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগোনোর সুযোগ ছিল। ক্যারিবীয়রা সিরিজ ১-১ সমতা টানায় সেটি আর হচ্ছে না। রেটিং পয়েন্টে উইন্ডিজদের ছাড়িয়ে যেতে হলে ৩-০ ব্যবধানে জিততে হতো টাইগারদের। বাংলাদেশে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স গ্রাফটা ছিল তলানিতে। সর্বশেষ ১২ ম্যাচে জয় স্রেফ একটি। ফলে জয় পেতে মরিয়া মিরাজ-তাসকিনদের পক্ষে কন্ডিশন প্রস্তুত করা হয় মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। যেখানে কালো মাটির উইকেটে রাজত্ব করছেন স্পিনাররা। রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত করতে পারত স্বাগতিকরা। কিন্তু শাই হোপের দলের কাছে সুপার ওভারে ১ রানে হেরেছে। আগে ব্যাট করতে নেমে মূল ম্যাচে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান তোলে। ধীরগতির ব্যাটিং উপহার দেয়া স্বাগতিকদের পুঁজিটা দুইশ পেরোয় রিশাদ হোসেনের ১৪ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ক্যামিওতে। এ ছাড়া ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে সৌম্য সরকার ৪৫ ও মেহেদী মিরাজ ৩২ রান করেন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক হোপের হার না মানা ৫৩ রানের সুবাদে সমান ২১৩ রান করে উইন্ডিজরা। নিজেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে তিন ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো ম্যাচ টাইয়ের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। প্রথম এই অভিজ্ঞতাই হলো তিক্ততার। মুস্তাফিজুর রহমানের করা সুপার ওভারে প্রথম ৫ বলে ৬ রান ওঠার পর শেষ বলে বাউন্ডারি হজম করেন। ফলে ১০ রানের পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোলিংয়ে এসে ক্যারিবীয় বাঁ-হাতি স্পিনার আকিল হোসেন ওয়াইড-নো বল মিলিয়ে ১ বলেই ৫ রান খরচ করেন। ফলে ৫ বলে ৬ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। ১ উইকেট হারিয়ে সৌম্য-শান্তরা কোনোমতে ৪ রান তুলেছে। সিরিজ শুরুর আগে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ১০-এ থাকা বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ছিল ৭৪। নয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৮০। কেবল ৩-০ ব্যবধানে জিতলেই বাংলাদেশ তাদের টপকাতে পারত, তখন মিরাজদের পয়েন্ট ৭৮ এবং উইন্ডিজদের পয়েন্ট কমে দাঁড়াত ৭৬-এ। ফলে ক্যারিবীয়দের ১০ এ নামিয়ে বাংলাদেশ উঠে যেত ৯ নম্বরে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছে। এখন স্বাগতিকদের সামনে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের সুযোগ আছে। তেমনটা হলে মিরাজদের পয়েন্ট ৭৬ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের হবে ৭৯। আবার কোনো কারণে শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে ১-১ সমতার পর দুই দলের রেটিং পয়েন্ট ৮০ ও ৭৪ অপরিবর্তিত থাকবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-১ ব্যবধানে জিতলে তাদের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে ৮১ এবং বাংলাদেশের হবে ৭৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুপার ওভারে হেরে যাওয়ায় আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে উঠে আসার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। সিরিজ এখন ১-১ সমতায় থাকায় আজ মিরপুরে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডের ফল যাই হোক না কেন, মেহেদী হাসান মিরাজদের র্যাঙ্কিংয়ের অবস্থানে আর কোনো পরিবর্তন আসছে না। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে আজ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হবে। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে (৭৪ পয়েন্ট) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ নম্বরে (৮০ পয়েন্ট) অবস্থান করছে। এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলে তাদের রেটিং পয়েন্ট ৭৬ হবে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭৯ হবে। একইভাবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট কমে ৭৩ হবে এবং ক্যারিবিয়ানদের বেড়ে গিয়ে ৮১ হবে। দুই ক্ষেত্রেই দুই দলের র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
ক্রিকেট
র্যাংকিংয়ে উন্নতির অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের
২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে বাংলাদেশকে র্যাংকিংয়ের সেরা নয়ে থাকতে মহবে। এই সময়সীমা ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।