গতকাল থেকে শুরু হয়েছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় মূল আয়োজক ভারত ও শ্রীলংকা। ভারতের মাটিতে পাকিস্তান ম্যাচ না খেলার কারণে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে শ্রীলংকাও। গত আসরের মত এবারের বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপ খেলবে টাইগ্রেসরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রান রেটে পেছনে ফেলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব পেরিয়ে বাংলাদেশ মূল আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে। বাছাই পর্বে বাংলাদেশের সেরা ছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। ৫ ম্যাচে করেছিলেন ২৬৬ রান। যেখানে থাইল্যান্ডের সাথে ৯৪ রানের অপরাজিত ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন। বাছাই পর্বের টুর্নামেন্টের সেরা দলেও ছিলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়ার পর গত বছরের নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন শারমিন।
ভালো ব্যাটিং করলেও তিন অঙ্ক ছোঁয়া হচ্ছিল না তার। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেই অপেক্ষা ফুরাতে চান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান এখনও বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি পাননি। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শারমিন গড়তে চান ইতিহাস,‘আমার প্রথম সেঞ্চুরির জন্য আমাকে আরো কিছুটা চাপ নিতে হবে এবং বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করাটা দারুণ হবে। আমি আমার সেরাটা চেষ্টা করছি। এবং আমি যে ভুল করেছি, আউট হয়েছি এবং সেখান থেকে শিখেছি, সেগুলো থেকে ি শক্ষা নিচ্ছি।
আমি আমার দলের জন্য এটা (সেঞ্চুরি) করতে চাই। আমি শুধু ভালো করার চেষ্টা করছি এবং যদি আমি ভালো করতে পারি, তাহলে আমার দলও ভালো করবে, কিন্তু যদি আমি সেঞ্চুরি করি, তাহলে সেটা আমার জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ তিন বছর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলে। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারাতে পারে। সেই থেকে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জেতে। বড় মঞ্চে মাঠে নামার আগে পুরনো সাফল্য থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন শারমিন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, ভালো স্মৃতি আপনাকে ইতিবাচক মনোভাব দিতে পারে এবং এর থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস পাই। গত বিশ্বকাপে, কিছু ম্যাচ আমরা সত্যিই ভালো খেলেছিলাম কিন্তু হেরেছিলাম, যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। গতবার শ্রীলঙ্কা খেলছিল না, এবার খেলছে এবং আমরা সব সময় তাদের সাথে ভালো লড়াই করেছি।’ দলের ৮ ক্রিকেটার দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন। সাথে আছেন প্রতিশ্রুতিশীল কিছু খেলোয়াড়। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালো কিছুর আশায় শারমিন, ‘প্রথম বিশ্বকাপের আট জন এবারও আছে। অভিজ্ঞতা সবসময় গণনা করা হয়। কিন্তু আমাদের নতুন সদস্যও আছে। এবং আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য, সিনিয়র এবং জুনিয়রদের জন্য একটি চমৎকার সমন্বয়। সিনিয়ররা আমাদের অভিজ্ঞতা দিতে পারে, কিন্তু জুনিয়ররা আমাদের শক্তি দেয়, এবং সামগ্রিকভাবে এটি দারুণ কিছু হবে।’ দলের সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্সেও নজর শারমিনের, ‘গত দুই বা তিনটি সিরিজে, আমার কিছু অসাধারণ সময় কেটেছে, এবং আমি আমার দলের জন্য এভাবেই অবদান রাখতে চাই। আমি কেবল একই কাজ করার চেষ্টা করছি যা আমি করে আসছি এবং কেবল প্রক্রিয়াটি বজায় রাখার চেষ্টা করছি।’