তামিম ইকবালের ধূমপান ইস্যুতে ক্ষমা চেয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। অবশ্য দেশবরেণ্য ক্রিকেটার তামিমের চিকিৎসার কোনোই ত্রুটি হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারকে সুস্থ করে তুলতে সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তার দয়া ও চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তামিম এখন ভালোর দিকে। তামিম এভারকেয়ার হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টা থাকার পর গতকাল দুপুরে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসে নিজ বাসায় ফিরে গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এভারকেয়ার হাসাপাতালের দুইজন সিনিয়র ও নামী চিকিৎসকের অপেশাদার ও অদূরদর্শী আচরণ নিয়ে দেশব্যাপী একটা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাদের আচরণ অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। এভারকেয়ার হাসপাতালের দুই জন সিনিয়র চিকিৎসক সাহাবউদ্দীন তালুকদার ও আরিফ রহমান যে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানিয়ে দিয়েছেন, তামিম ধূমপান করেন এবং তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে এসেও ধূমপান করতে চেয়েছেন। দুই জন নামী, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও সিনিয়র চিকিৎসকের এমন অপেশদার আচরণকে অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি। অনেকের মত, দেশের অন্যতম হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার ও এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমানের মতো দায়িত্বশীল চিকিৎসকের মুখে ‘তামিম ধূমপান করেন, এভারকেয়ারে এসেও ধূমপান করতে চেয়েছেন, বলার পরও ধূমপান ছাড়তে অনীহা’- এমন কথা শুনে বিরাগভাজন হয়েছেন। দেশের অগণিত তামিমভক্ত, ক্রিকেট ও ক্রীড়া অনুরাগীরা মনে করেন, চিকিৎসকরা অপেশাদার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তামিমের মতো একজন ক্রিকেটারের পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত জীবনের কথা চিন্তা করে ধূমপানের প্রসঙ্গ সরাসরি না বললেই ভালো হতো। অবশেষে ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ওই দুই চিকিৎসক সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিমের ধূমপানের বিষয়টি প্রকাশের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার ও আরিফ রহমান দুঃখ প্রকাশ করেন। প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার বলেন, ‘তামিমের শারিরীক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে ধূমপানের প্রসঙ্গ চলে আসে। ধূমপান যে হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তা জানাতে গিয়ে ভুলবশত তামিমকে সম্পৃক্ত করার জন্য দুঃখিত। আমি আসলে ধূমপানটা হৃদরোগীদের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বলে বোঝাতে গিয়ে তামিমকে জড়িয়ে ফেলেছিলাম। সেজন্য দুঃখিত। এভারকেয়ার মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমান বলেন, ‘ধূমপানের বিষয়টি সামনে এনে আমরা বুঝতে পেরেছি, দেশবরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব তামিম ইকবাল ভাইয়ের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক, সামাজিক জীবন ও গোটা ক্যারিয়ারের জন্য একটা নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে। বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছে। আমি ও স্যার সাহাবউদ্দীন তালুকদার আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা তামিম ভাই এবং তার পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই তামিম ভাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে খেলায় ফিরে আসেন।’
ক্রিকেট
তামিম ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন দুই চিকিৎসক
তামিম ইকবালের ধূমপান ইস্যুতে ক্ষমা চেয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। অবশ্য দেশবরেণ্য ক্রিকেটার তামিমের চিকিৎসার কোনোই ত্রুটি হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারকে সুস্থ করে
Printed Edition
