শ্রীলংকা সফরে টেস্ট সিরিজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজেও হার দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে চরম ব্যাটিং বির্যয়ের পর ৭৭ রানে বিশাল ব্যবধানে হারে টাইগাররা। মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেটের পতন হয়েছিল। বাজেভাবে ব্যাটিং ধসের ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হঠাৎ ভেঙে পড়া ব্যাটিং লাইনআপ, ৭৭ রানের হারের পর দলের ভেতরে ছিল দীর্ঘ আলোচনা। সেখান থেকে একটি বার্তা স্পষ্ট হয়েছেÑ‘দীর্ঘ ইনিংস খেলতে হবে, ম্যাচ শেষ করে আসতে হবে। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে শুরুতেই তানজিদ জানালেন, প্রথম ওয়ানডে ৬২ রান করলেও সন্তুষ্ট নন তিনি। সন্তুষ্ট না থাকার ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি। তানজিদ হাসান বলেন, আমার কাছে মনে হয় না আমি ভালো খেলেছি। কারণ দলের যখন যেটা দরকার ছিল আমি সেটা পূরণ করতে পারিনি। সেদিক থেকে বলবো যদি সেটা পূরণ করতে পারতাম, তাহলে হয়তো বা বলতে পারতাম হ্যাঁ, আমি ভালো খেলেছি। দলের জন্য খেলতে পেরেছি।’ প্রথম ওয়ানডেতে বাজে ভাবে হেরে গেলেও এখনো কামব্যাক করার সুযোগ দেখছেন তানজিদ তামিম। কেননা সামনে আরও দুটি ম্যাচ রয়েছে। বাংলাদেশ ওপেনার বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের কামব্যাক করার সুযোগ আছে। কারণ তিন ম্যাচের সিরিজ, এক ম্যাচ শেষ হয়েছে। পরের ম্যাচটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি কামব্যাক করতে পারি, তাহলে আমরা সিরিজের লড়াইয়ে থাকতে পারবো।’ সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে তানজিদ তামিম বলেন, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য যেটা বলবো, আমার সবসময় চেষ্টা থাকে ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার এবং প্রতি ম্যাচে দলের জন্য ভালো কিছু অবদান রাখা। দলের যেটা প্রয়োজন যেটা আমি গত ম্যাচে পূরণ করতে পারি, চেষ্টা থাকবে দলের যা প্রয়োজন পরের ম্যাচে যেন পুষিয়ে দিতে পারি।’ নাজমুল হোসেন শান্ত ও নিজের আউট নিয়ে তানজিদ তামিম বলেন, ‘আমি আর শান্ত ভাই অনেক ভালো একটা জুটি গড়েছিলাম। সেদিক থেকে বলবো, আমরা খানিকটা দুর্ভাগা। কারণ ওই রান আউটটা। তারা অনেক ভালো ক্যাচ ধরেছে এবং ভালো একটা রানআউটও করেছে। আমার কাছে মনে হয় এটা অনেক বড় টার্নিং পয়েন্ট। কারণ ওখান থেকে যদি আমরা একটা ৩০-৪০ রানের জুটি করতে পারতাম দুজনে মিলে তাহলে মনে হয় ম্যাচটা আমাদের জন্য আরও সহজ হয়ে যেতো।’ উইকেট তিনি বলেন, ‘এই উইকেটে যারা সেট হবে, তাদের লম্বা ইনিংস খেলতে হবে। আমি আর শান্ত ভাই যেভাবে সেট হয়েছিলাম, যদি আরেকটু থাকতে পারতাম তাহলে ম্যাচটা ভালোভাবে বের হয়ে আসতে পারতো। পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যেতো।’ কারণ নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য এই উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন। ফলে যারা সেট থাকবে, তাদের লম্বা ইনিংস ক্যারি করতে হবে।

প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা নিয়ে দলের ভেতরে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোচরা কিছু তথ্য দিয়েছেন আমাদের। যেমনÑওদের (শ্রীলঙ্কার) স্পিন আক্রমণ খুব শক্তিশালী। তাই যেই ব্যাটাররা সেট হবে, তারাই যেন শেষ পর্যন্ত খেলতে পারে, কারণ নতুন ব্যাটারদের জন্য এই উইকেটে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। ’ তিনি আরও বলেন, ‘হাসারাঙ্গা মিডল ওভারে বল করে এবং ডানহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে বেশ কার্যকর। তাই আমরা বামহাতি ব্যাটাররা যেন বেশি স্ট্রাইক নিতে পারি, সে বিষয়ে পরিকল্পনা হয়েছে। এসব তথ্য দ্বিতীয় ম্যাচে কাজে লাগতে পারে।’ আজ বিকেল ৩টায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের।