শ্রীলংকা সফরে টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পাল্লেকেলেতে প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান করেছে টাইগাররা। ফলে জয়ের জন্য ১৫৫ রান করতে হবে শ্রীলংকাকে। শ্রীলংকাকে আরো বড় টার্গেট দিতে পারত বাংলাদেশ। শুরুটা সে ভাবেই করেছিল সফরকারীরা। তবে দলীয় শতরানের আগেই দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে স্কোরটা কমে যায় বাংলাদেশের। শ্রীলংকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতেই বাংলাদেশ তুলে নেয় ৪৬ রান। কিন্তু পঞ্চম ওভারে তানজিদ হাসানের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। থুশারার শিকার হন তানজিদ হাসান তামিম। ১৭ বলে ২ চারে ১৬ রান করে থিকশানাকে ক্যাচ দেন তিনি। পরের ওভারে ইমনের চারে ৩১ বলে বাংলাদেশের ফিফটি হয়। দলীয় ৬৫ রানে বাংলাদেশ হারায় দ্বিতীয় উেইকেট। এবার মাত্র ৬ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক লিটন দাস। অফ ফর্মের কারণে ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে দলে ছিলেন না লিটন। তবে অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরেছেন। সেখানেও ব্যর্থতা কাটাতে পারেননি। ১১ বলে ৬ রান করে জেফ্রি ভ্যান্ডারসির কাছে এলবিডব্লিউ হন লিটন। দলীয় ৬৭ রানে বাংলাদেশ হারায় পারভেজ ইমনের উইকেট। মাহিশ থিকশানার বলে শানাকার ক্যাচ আউটের শিকার হন তিনি। ২২ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৮ রান করে আউট হন ইমন। দলীয় ৮৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হতাশ করলেন তাওহীদ হৃদয়। তিনি ১৩ বলে আউট হন ১০ রান করে। দাসুন শানাকার বলে কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে ধরা পড়েন হৃদয়। তাওহীদ হৃদয়ের বিদায়ে নাঈমের সাথে জুটি করে দলকে এগিয়ে নেন মিরাজ। শানাকাকে চার মেরে বাংলাদেশের স্কোর একশ পার করেন তিনি। ফলে ১৪.৪ ওভারে বাংলাদেশ শতরান পার করে। এই জুটি ভাংগার আগে বাংলাদেশ পৌছে যায় ১৩৫ রানে। আউট হওয়ার আগে মিরাজ করেন ২৯ রান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫ উইকেটে করে ১৫৪ রান। নাঈম ৩২ রানে আর শামীম ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রথম টি-টোয়েন্টি: বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (নাঈম ৩২*, শামীম ১৪*, তানজিদ ১৬, লিটন ৬, ইমন ৩৮, হৃদয় ১০, মিরাজ ২৯)