প্রিমিয়ার ক্রিকেটর লিগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৪৬ রানের হারিয়ে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে অগ্রণী ব্যাংক। গতকাল বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান করেছে অগ্রণী ব্যাংক। দলের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। এছাড়া সাদমান ইসলাম করেন ৫৩ রান, সঙ্গে অমিত হাসান করেন ৪১ রান। শাইনপুকুরের হয়ে আলি মোহাম্মদ এবং রায়ান রাফসান নেন ২টি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে শাইনপুকুর সংগ্রহ করে ২৪৮ রান। ৪৬ রানে হারলেও দলের হয়ে ১০৬ রান করেন অধিনায়ক রায়ান রাফসান।

এছাড়া ৫১ রান করেন মিনহাজুল আবেদিন। ৬ খেলায় ৫ জয়ের সুবাদে আবাহনী (নেটরান ১.১৫৮) আর গাজী গ্রুপের (১.২৩৯) সঙ্গে অগ্রণী ব্যাংকেরও পয়েন্ট এখন সমান ১০ করে। তবে নেট রানরেটে (০.৫০৫) পিছিয়ে থাকায় অগ্রণী ব্যাংক আছে তিন নম্বরে। অন্যদিকে সমান ৬ খেলায় ৫ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে শাইনপুকুর। প্রথম সেশনে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠে আরও একবার অগ্রণী ব্যাংকের সাফল্যের নায়ক ইমরুল কায়েস। ৮৫ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে ২৯৪ রানের বড় পুঁজি গড়ে দিতে প্রধান ভূমিকা রাখেন অগ্রণী ব্যাংক ক্যাপ্টেন। সাথে দুই ওপেনার সাদমান (৬৬ বলে ৫৩) আর ইমরানউজ্জামান (৩৫ বলে ৩২) একজোড়া কার্যকর ইনিংস উপহার দিয়ে শুরুটা ভালো করে দেন। এরপর ইমরুল আর অমিত হাসানের (৫৪ বলে ৪১) জুটি অগ্রণী ব্যাংককে অনেকদূর এগিয়ে দেয়। জবাবে শাইনপুকুর অধিনায়ক রায়ান রাফসান অনবদ্য সেঞ্চুরি উপহার দিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি। চার নম্বরে নেমে রায়ান রাফসান ১৩০ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১০৬ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দেন। হাতে ৫ উইকেট থাকলেও ৫০ ওভার শেষে শাইনপুকুর থামে ২৪৮ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অগ্রণী ব্যাংক: ৫০ ওভারে ২৯৪/৭ (ইমরানউজ্জামান ৩২, সাদমান ৫৩, ইমরুল কায়েস ৮৬, অমিত হাসান ৪১, মার্শাল আইয়ুব ২০, তাইবুর রহমান ২০, শুভাগত হোম ১৫*; আলী মোহাম্মদ ২/৬২, রায়ান রাফসান ২/৪৯)।

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৪৮/৫ (নিয়ন ইসলাম ২০, তন্ময় ৩৪, রায়ান রাফসান ১০৬*; নাইম হাসান ২/৩৪, আরিফ আহমেদ ২/৪১, শুভাগত হোম ১/৪২)।

ফল: অগ্রণী ব্যাংক ৪৬ রানে জয়ী।