নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। তবে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে টাইগ্রেসরা। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ১৭৮ রানে অলআউট হয়। জবাবে ইংল্যান্ড ৪৬.১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮২ রান করে ম্যাচ জিতে। গৌহাটিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে ২৯ বলে ২৪ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ও শারমিন আকতার। ৯ বলে ৪ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন রুবাইয়া। প্রথম উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে এসে মাত্র ২ বল খেলে খালি হাতে সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ক্রিজে সেট হয়ে দলীয় ৫৯ রানে আউট হন শারমিনও। ৬টি চারে ৫২ বলে ৩০ রান করেন তিনি। এরপর মিডল অর্ডারের চার ব্যাটার দ্রুত আউট হলে ১৩০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্বর্ণা আকতার ১০, রিতু মনি ৫, ফাহিমা খাতুন ৭ ও নাহিদা আকতার ১ রানে থামেন। সতীর্থদের যাওয়া আসার মাঝে এক প্রান্ত আগলে ইংল্যান্ড বোলারদের সামনে লড়াই করেছেন সোবাহানা। চার নম্বরে নেমে ৯২ বল খেলে ২৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন সোবাহানা। ৮টি চারে ১০৮ বল খেলে ৬০ রানে আউট হন এই ডান-হাতি ব্যাটার। দলীয় ১৫৬ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সোবাহানার আউটের পর বাংলাদেশকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছেন নয় নম্বরে ব্যাট হাতে নামা রাবেয়া। তার মারমুখী ইনিংসের সুবাদে ৪৯.৪ ওভারে ১৭৮ রান করে বাংলাদেশ। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ৪৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন রাবেয়া। ২৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান রাবেয়ার। ইংল্যান্ডের সোপিয়া একলেস্টোন ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন। জবাবে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন পেসার মারুফা আকতার। ইনসুইং ডেলিভারিতে ইংল্যান্ড ওপেনার অ্যামি জোন্সকে ১ রানে লেগ বিফোর আউট করেন মারুফা। নিজের চতুর্থ ওভারে ইংল্যান্ডের আরেক ওপেনার ট্যামি বিউমন্টকে ১৩ রানে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন মারুফা। ২৯ রানে ২ উইকেট পতনে চাপে পড়ে ইংলিশরা। এরপর ৪০ রানের জুটিতে শুরুর চাপ সামাল দেন হেদার নাইট ও অধিনায়ক ন্যাট সিভার ব্রান্ট। ১৯তম ওভারে নাইট-ব্রান্ট জুটি ভেঙে জোড়া উইকেট তুলে নেন লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। ব্রান্টকে ৩২ ও নতুন ব্যাটার সোফিয়া ডাঙ্কলিকে খালি হাতে বিদায় দেন ফাহিমা। কিছুক্ষণবাদে আবারও ইংল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন ফাহিমা। ছয় নম্বরে এমা ল্যাম্বকে ১ রানে আউট করেন তিনি। ফলে ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। ১০৬ রানে ইংল্যান্ডের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান বাঁ-হাতি স্পিনার সানজিদা আকতার মেঘলা। এলিস ক্যাপসিকে ২০ রানে বিদায় করে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখান সানজিদা। তখন জয় থেকে ৭৬ রানে দূরে ইংল্যান্ড। আর বাংলাদেশের দরকার ৪ উইকেট। কিন্তু সপ্তম উইকেটে ১০০ বলে ৭৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশের জয়ের আশা ধুলিসাৎ করে দেন নাইট ও চার্লি ডিন। নাইট ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১১ বলে ৭৯ এবং ডিন ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের ফাহিমা ১০ ওভারে ১৬ রানে ৩টি, মারুফা ২ ও সানজিদা ১ উইকেট নেন। আগামীকাল ১০ অক্টোবর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
ক্রিকেট
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে হারল বাংলাদেশ
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। তবে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে টাইগ্রেসরা। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ১৭৮ রানে অলআউট হয়।