বাংলাদেশ-শ্রীলংকা তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ। টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের আশা বাংলাদেশের। আজ ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই জয়ের আশা বাংলাদেশের। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হবে। লিটন দাস দলকে নেতৃত্ব দিবেন। এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। এই ফর্মেটে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৭ বারের মোকাবেলায় ৬টি ম্যাচে জয়ী ও ১১টিতে পরাজিত হয়েছে। ২০১৮ সালে কলম্বোতে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফর্মেটে ৫ উইকেটে সর্বোচ্চ ২১৫ রান গড়েছিল বাংলাদেশ। সাতবার ২০০র বেশী রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি এসেছে শ্রীলংকার বিপক্ষে। এই ফর্মেটে গত পাঁচ ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বছরের শেষের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ এই ফরমেটে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আশা করছে। তবে মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে পরাজয়ের হতাশা পুরো দলকে ভুগিয়েছে। পরের সপ্তাহেই পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ হতে হয়েছে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছেন যেকোন ফর্মেটেই পার্টনারশীপ গড়ে তোলা দলকে অনেকটাই এগিয়ে দেয়। তার মতে বড় পার্টনারশীপের অভাবেই বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হারতে হয়েছে। তৃতীয় ওয়ানডেতে পরাজয়ের পর এ সম্পর্কে মিরাজ বলেন, ‘সেট হবার আগেই আমরা দ্রুত উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছি। খুব বেশীদুর ব্যাটাররা যেতে পারেনি। আমাদের অবশ্যই এই দিকটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা যেকোন ফর্মেটের ক্রিকেটের জন্য অপরিহার্য্য। যখন আমি ও হৃদয় ব্যাটিংয়ের ছিলাম তখন অনেকটাই ম্যাচের আবহ বুঝে ফেলেছিলাম। ঐ মুহূর্তে আমি আউট হয়ে যাই, আর এতে ম্যাচের গতি নষ্ট হয়েছে। বড় পার্টনারশীপ আর গড়ে উঠেনি। পার্টনারশীপে স্ট্রাইক রোটেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ লংকানদের বিপক্ষে পূর্ন শক্তির পেস আক্রমন নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ অবশ্য আইপিএল’এ যোগ দেবার আগে আরব আমিরাতের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রথম ম্যাচটি খেলেছিলেন।তাসকিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ গত তিন বছর ধরে তাদের কাজ অনবদ্যভাবে করে চলেছে। কিন্তু ব্যাটারদের নিয়মিত ব্যর্থতায় পেসারদের কৃতিত্ব চাপা পড়ে যাচ্ছে। তবে স্কোয়াডে বাংলাদেশের নির্বাচকরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও ব্যাটার নাইম শেখকেও অন্তর্ভূক্ত করেছে।