জয়টা হাতের নাগালে নিয়ে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শেষ রক্ষা হলো না। অকল্যান্ডে ৪১১ রানের রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তে এসে ৩ রানে হেরে গেলো ক্যারিবীয়রা। এই জয়ে টি-টোয়েন্টি পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২০৭ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৮ উইকেটে ২০৪ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোভম্যান পাওয়েলের আগুনে ১৬ বলে ৪৫ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ৩ রানে হেরে যায় তারা। ২১০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় ১৩তম ওভারের শেষে ৮৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে পাওয়েল, রোমারিও শেফার্ড (১৬ বলে ৩৪) ও ম্যাথিউ ফোর্ড (১৩ বলে ২৯*) মিলে ম্যাচে ফেরার লড়াই শুরু করেন। শেষ চার বলে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। কিন্তু কাইল জেমিসনের নিখুঁত স্লোয়ার বোলিংয়ে মাত্র তিন রান তুলতে সক্ষম হয় অতিথিরা। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও টিম রবিনসন মাত্র ৭ ওভারে গড়েন ৫৫ রানের জুটি। এরপর দুজন দ্রুত আউট হলে রাচিন রবীন্দ্র ও মার্ক চ্যাপম্যান ইনিংস ধরেন। ধীর সূচনার পর চ্যাপম্যান ঝড় তোলেন; রোমারিও শেফার্ডকে এক ওভারে মারেন তিন ছক্কা ও এক চার, পরে জেডেন সিলসের ওভারে তোলেন ২৩ রান। এ সময় রবীন্দ্র আউট হলেও ড্যারিল মিচেল এসে হোসেনের এক ওভারে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে রান তোলেন আরও দ্রুত। সেই চার ওভারে ওঠে ৮২ রান, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। শেষ ওভারে সিলসকে আবারও আক্রমণ করে স্যান্টনার ও মিচেল দলকে ২০০ পার করান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। ব্র্যান্ডন কিং প্রথম ওভারেই শূন্য রানে আউট হন। অ্যালিক আথানাজে কয়েকটি ছক্কা-বাউন্ডারি মারলেও পাওয়ারপ্লের পর দল ছিল কেবল রান-এ-বলের গতিতে। পরের কয়েক ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে তারা পড়ে বড় চাপে (১১ ওভারে ৭৪/৪)। জেসন হোল্ডার কিছুক্ষণ লড়াই করলেও ইশ সোধির বলে আউট হয়ে ফেরেন। এরপরের ঝড় তোলেন পাওয়েল, মাত্র চার ওভারে ৭৫ রান ওঠে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬, কিন্তু জেমিসন স্নায়ুচাপে ভেঙে না পড়ে দলকে এনে দেন নাটকীয় জয়।
ক্রিকেট
সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে নিউজিল্যান্ড
জয়টা হাতের নাগালে নিয়ে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শেষ রক্ষা হলো না। অকল্যান্ডে ৪১১ রানের রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তে এসে ৩ রানে হেরে গেলো ক্যারিবীয়রা।