সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সে সব ফরম্যাটেই ধারাবাহিকতা হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, বিশেষ করে টপঅর্ডারের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ছন্দহীনতার বৃত্ত ভেঙ্গে ফের আলো ছড়ালেন লিটন দাস। রোববার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। পরে দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কানদের ৯৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৮৩ রানের বড় জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এই জয়ে বড় অবদান রাখেন লিটন দাস। যিনি ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। এছাড়া শামীম হোসেন ৪৮ রান করে দলকে বড় স্কোর গড়তে সহায়তা করেন। টাইগার বোলারদের মধ্যে রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলামের বোলিং তোপে দলীয় শত রান স্পর্শের আগেই অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। লিটনের ফর্মে ফিরে আসায় খুশি ভক্ত-সমর্থকরা। কারণ, বেশ কিছু ম্যাচ ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে রান খরা চলছিল তার ব্যাটে। সেই ধারাবাহিক ব্যর্থতা নিয়ে উঠেছিল নানা প্রশ্ন। তবে অধিনায়কের ব্যাটে রান দেখে সন্তুষ্ট বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও। তিনি লিটনের ইনিংসকে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখছেন এবং স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সেই চিরচেনা ‘বাংলাদেশি ক্রিকেট’ স্টাইলের কথাও।
সোমবার বুলবুল বলেন, কথায় আছে না, ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট। লিটনের প্রতি আমাদের বিশ্বাসটা রাখা উচিত। তবে আমি কাউকে একক কৃতিত্ব দিতে চাই না। এই জয়ের পেছনে দলীয় পারফরম্যান্সের ভূমিকা বেশি। শামীম-লিটন সবাই ভালো খেলেছে। বোলিংয়ের সময় দেখেন সবাই ভালো করেছে। এখান থেকে পেছনে না তাকিয়ে যত কম ভুল করা যায় আর কি, সামনে এগোতে হবে।চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোনো ফরম্যাটেই সিরিজ জিততে পারেননি টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজটি অবশ্য এখনো জয় করার সুযোগ রয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) শেষ ম্যাচটি জিতলে সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকছে লিটন বাহিনীর। বুলবুল বিশ্বাস রাখছেন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, অবশ্যই সিরিজ জেতা সম্ভব। দেখেন এই সিরিজের আগে একটা জেতা টেস্ট ম্যাচ আমরা ড্র করেছি। তারপর একটা টেস্ট হারলাম, তারপর সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটা আমাদের জেতা ছিল। কিন্তু আমরা ব্যাটিং কলাপ্সের কারণে হেরে গেলাম। দ্বিতীয়টা আমরা জিতলাম, এরপরে আবার হারলাম। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচটাও হারলাম, গতকালকে জিতলাম। আমার কাছে মনে হয় কিছু কিছু জায়গায় উন্নতি করলে আরো ভালো করবে।