এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। আজ জিতে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে মাঠে নামবে টাইগাররা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায় ২ উইকেটে। আজ শেষ ম্যাচ জিতে শতভাগ সাফল্য নিয়ে সিরিজ শেষ করার লক্ষ্য বাংলাদেশের। যদিও প্রথম দুই ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। দু’বারই ব্যাটিং ধসে হারের শঙ্কায় পড়েছিল টাইগাররা। তারপরও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১১.৪ ওভারে ১০৯ রান তুলে বাংলাদেশকে সহজ জয়ের পথে রাখেন পারভেজ হোসেন ইমন এবং তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু এরপর ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট পতনে হারের শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ১৩ বলে ২৩ এবং রিশাদ হোসেনের ৯ বলে ১৪ রানের ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ২৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডারে জাকের আলি ও শামীম হোসেনের ৫৬ রানের জুটিতে চাপমুক্ত হয় টাইগাররা। অধিনায়ক জাকের ৩২ এবং শামীম ৩৩ রানে ফেরার পর ফিনিশার হিসেবে জয় নিশ্চিত করেন সোহান। তিনি খেলেন ২১ বলে ৩১ রানের ইনিংস। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয়ে খুশি নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া জাকের আলি। তিনি বলেন, ‘সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় ভালো লাগছে। দল হিসেবে আমরা গত দুই ম্যাচে সত্যিই ভালো খেলেছি। বোলাররা ভালো করেছে। উইকেট ভালো ছিল এবং বোলাররা নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। আমরা ইতিবাচক ছিলাম এবং ভালো পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করেছি।’ গত দুই বছর ধরে ভালো পারফরম্যান্স করছে বাংলাদেশের বোলাররা। এশিয়া কাপেও ধারাবাহিক ছিল তারা। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সাফল্য পায়নি দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই একাদশে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। তৃতীয় ম্যাচে জয় পেলে ২০১৮ সালে আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশের প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৫ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৮টিতে জয় ও ৭টিতে হার।