নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকর বাংলাদেশ। গতকাল সিলেটে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ৮৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে কিউইদের সহজেই হারিয়েছিল নুরুল হাসান সোহানের দল। এবার ব্যাটারদের কল্যাণে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে টাইগাররা। অধিনায়ক সোহান এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের দুর্দান্ত শতকে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা। ৩৪৫ রানের টার্গেটে ৪৩.১ ওভারে ২৫৭ রানেই গুঁটিয়ে যায় সফরকারীরা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কিউই অধিনায়ক নিক কেলি। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে সফরকারীদের জন্য। বাংলাদেশের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন মাত্র ৮ রানে ফিরে গেলেও এনামুল হক বিজয় ৩৯ এবং মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৪০ যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ রান। এরপর মাহিদুল ইসলাম অংকন ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান চতুর্থ উইকেটে গড়েন ২২৫ রানের দুর্দান্ত জুটি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সোহান খেলেন ১১২ রানের ইনিংস। তার ১০১ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি করে চার ও ছক্কার মার। অংকনও খেলেন নান্দনিক এক সেঞ্চুরি, শেষ ওভারে বিদায়ের আগেই ১০৮ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় করেন ১০৫ রান। বাকি সময়ে দলকে সাড়ে তিনশ অব্দি পৌঁছে দেন মোসাদ্দেক হোসেন ১৩। কিউই বোলারদের বাজে দিনে দুটি উইকেট নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক, খরচ করতে হয়েছে ৭১ রান। একটি করে উইকেট জাকারি ফলকেস ও আদিত্য অশোক। ৩৪৫ রানের জবাব দিতে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ছিল ভালো। ডেল ফিলিপস একাই দলকে আশার আলো দেখাচ্ছিলেন।

১৬ বলে ৫ রান করে কার্টিস হিপি বিদায় নেন দলীয় ৫২ রানে। এরপর ফিলিপসের সাথে হাল ধরেন জো কার্টার। তবে কার্টার থামেন দলীয় ৯৯ রানে। এতেই ছন্দপতন হয় সফরকারীদের। ফিলিপস ৫৪ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নিলে দল খেই হারিয়ে ফেলে। জশ ক্লার্কসন ৩৪ রান করে বিদায় নিলে একা হয়ে পড়েন মিচ হে। শেষপর্যন্ত দলকে আর জেতাতে পারেননি তিনি। মোসাদ্দেক-শরিফুলদের বোলিং তোপে হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড, হারে সিরিজও। ৪৩.১ ওভারে গুটিয়ে যায় ২৫৭ রানে। মোসাদ্দেক তিনটি এবং শরিফুল, তানভির ও শামীম পান দুটি করে উইকেট।