DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

ক্রিকেট

সেমিফাইনাল নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ

অবশেষে পরিত্যক্ত হয়েছে আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় উভয় দলটি পেয়েছে এক পয়েন্ট করে। এর ফলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত

P-1a

স্পোর্টস রিপোর্টার: অবশেষে পরিত্যক্ত হয়েছে আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় উভয় দলটি পেয়েছে এক পয়েন্ট করে। এর ফলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে বিদায় হয়নি আফগানিস্তানের। এখনও সেমিফাইনালে উঠার কিছুটা সম্ভাবনা আছে দলটির সামনে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা হারলেই তখন রান রেটের হিসেবে আসবে আফগানিস্তান। আর দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে দলটি সর্বোচ্চ ৫ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে। বিদায় নিবে আফগানিস্তান। অবশ্য আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। এক্ষেত্রে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে আজকে হতে যাওয়া ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দিকে। যেখানে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের শুধু হারলেই চলবে না, তাদের হারতে হবে ২০৭ রানের বড় ব্যবধানে। আবার দক্ষিণ আফ্রিকা যদি আগে ব্যাট করে ৩০০ রান তুলে, সেই লক্ষ্য ইংল্যান্ড ১১.১ ওভারে পেরোতে পারলেই সেমিতে উঠবে আফগানিস্তান। ‘বি’ গ্রুপ থেকে এখন পর্যন্ত ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পেরেছে কেবল অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড ছিটকে গিয়েছে আগেই। বাকি দুই দল আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট সমান ৩ করে। কিন্তু নেটরানরেটে অনেক এগিয়ে থাকায় সুবিধাটা পাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের নেট রানরেট ২.১৪০। অন্যদিকে, আফগানদের নেট রানরেট -০.৯৯০। ফলে হারলেও সেমিতে ওঠার সুযোগ আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। যদি না তারা ২০৭ রানের ব্যবধান কিংবা ১১.১ ওভারেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ হারে। গতকাল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে ২৭৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত গতিতে রানের চাকা ঘোরায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৪৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট করতে নেমে জীবন পাওয়ার পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি ওপেনার ম্যাথিউ শর্ট। ১৫ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ওমরজাইর বলে গুলবাদিন নাইবকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই ওপেনার। ১২.৫ ওভার ব্যাটিং করে দ্রুত তুলে ফেলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। এরপরই ম্যাচে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। যে কারণে মাঠ ছাড়তে হয় অস্ট্রেলিয়ার দুই অপরাজিত ব্যাটার স্টিভ স্মিথ (১৯) ও ট্রাভিস হেডকে (৫৯)। ওয়ানডে ম্যাচে ফলাফল বের করতে আনতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওভার খেলা হতে হয়। এর কম হলে এবং খেলা শুরু করা না গেলে ওই ম্যাচ পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে দুই দলই একটি করে পয়েন্ট পাবে। এর আগে অস্ট্রেলিয়া- দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটিও বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।

এরআগে,লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে সেদিকুল্লাহ আটাল ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইর হাফ-সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৭৩ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দলের পক্ষে আটাল সর্বোচ্চ ৮৫ ও ওমরজাই ৬৭ রান করেন। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম বলে অস্ট্রেলিয়া পেসার স্পেনসার জনসনের বলে খালি হাতে বিদায় নেন আফগানিস্তান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও আটাল। আগের ম্যাচে রেকর্ড ১৭৭ রানের ইনিংস খেলা ইব্রাহিম গতকাল ভালো করতে পানেননি। আউট হওয়ার আগে করেন মাত্র ২২ রান। চার নম্বরে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি রহমত শাহ। ৯১ রানে ৩ উইকেট পতনের পর আফগানিস্তানের রানের চাকা সচল রাখেন আটাল ও অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। ৭৮ বলে ৬৮ রান যোগ হওয়ার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আটাল ৮৫ রানে শিকার হন জনসনের। ৯৫ বল খেলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন আটাল। দলীয় ১৫৯ রানে আটাল ফেরার পর ২৩ রানের ব্যবধানে আরও ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এসময় শাহিদি ২০, মোহাম্মদ নবি ১ ও গুলবাদিন নাইব ৪ রানে আউট হন। ১৯৯ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর ৩৩ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন আজমতুল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খান। ১৭ বলে ১৯ রান করে থামেন রশিদ। ১৯৯ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও আফগানরা যে লড়াকু সংগ্রহ পায়, এর পেছনে রশিদ খানের ১৭ বলে ১৯ রানের ইনিংসটির ভূমিকা রয়েছে। এরপর আফগানিস্তানকে একাই টেনে নিয়ে গেছেন ওমরজাই। ৫৪ বলে ওয়ানডেতে অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন তিনি। ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ওমরজাইর ৬৩ বলে ৬৭ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। ইনিংসের শেষ বলে নুর আহমেদের উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে অলআউট হয় আফগানরা। অস্ট্রেলিয়ার বেন ডোয়ার্শিস ৩টি, জনসন ও এডাম জাম্পা ২টি করে উইকেট নেন।