আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ার অনুষ্ঠিতব্য এএফসি নারী এশিয়ান কাপে প্রথমবার অংশ নেবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আসন্ন আসরকে সামনে রেখে থাইল্যান্ডে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গেছে আফঈদা খন্দকার, রিতুপর্ণা চাকমারা। কিন্তু ব্যাংককে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। সোমবার ব্যাংককের অ্যানিভার্সারি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক হংকং। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের মেয়েরা ১-৩ গোলে পিছিয়ে ছিল। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে বিরতির পর মাঠে নামলেও আরও দুই গোল হজম করে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এর আগে প্রথম ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। থাইল্যান্ড ম্যাচের ১২ মিনিটে এগিয়ে যায়।

থাই অধিনায়ক সাওয়ালক গোলটি করেন। এই গোলের পেছনে বাংলাদেশের হাই লাইন ডিফেন্সই দায়ী। বাংলাদেশের ডিফেন্স ভেদ করা থাই অধিনায়ক সাওয়ালক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা দৌড়িয়েও বাধা দিতে পারেননি। গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসলেও তার পায়ের ফাক দিয়ে বল জালে পাঠান থাই অধিনায়ক।

ম্যাচের ২৩ মিনিটে থাইল্যান্ড ব্যবধান দ্বিগুণ করে। এটাও বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা উপরে থাকায় থাই ফরোয়ার্ড সহজেই গোলের সুযোগ পান। গোলরক্ষক রুপ্না পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসলেও তার মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান জিরাপরান।২৯ মিনিটে শামসুন্নাহারের দুর্দান্ত গোলে বাংলাদেশ খেলায় ফেরে। বা প্রান্ত থেকে মারিয়া মান্দার কর্ণারে থাইল্যান্ডের বক্সে লাফিয়ে হেড করেন শামসুন্নাহার। বলের দিক পরিবর্তন করে গোলরক্ষককে কোনো সুযোগই দেননি তিনি। সাইড পোস্টে লেগে বল জালে জড়ায়। ৩৪ মিনিটে আরও একবার বাংলাদেশের রক্ষণ দেয়াল টপকে যায় তারা। শামসুন্নাহার সিনিয়র ও আফঈদা খন্দকারের বাধা পেরিয়ে তৃতীয় গোলটি করেন প্রতিপক্ষ ফুটবলার ম্যাডিসন ক্যাস্টিন। তাতে ৩-১ ব্যবধানে লিড নিয়ে বিরতিতে য়ায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে মেরিসন বক্সের বাইরে থেকে উড়ন্ত শটে গোল করেন। এই গোলটিও বাংলাদেশের বেশি উপরে ডিফেন্স করার কারণে। থাইল্যান্ডের গোলরক্ষক লম্বা শট নেন। সেই শট বাংলাদেশের অর্ধে ড্রপ করে ছুটতে থাকে। বাংলাদেশি ডিফেন্ডার থাই ফরোয়ার্ড মেরিসনকে আটকাতে পারেননি। গোলরক্ষক রুপ্না পোস্ট থেকে কিছুটা বেরিয়ে ছিলেন। মেরিসন সেটা বুঝেই বল রুপ্নার মাথার উপর দিয়ে শট নেন।তিন মিনিট পর পেছন থেকে ডিফেন্ডার কোহাতি কিসকু অধিনায়ক সাওলাককে ফাউল করলে ভিয়েতনামের রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে জিরাপরান স্কোরলাইন ৫-১ করেন। এরপর দুই দল গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও কেউই জালে জড়াতে পারেনি।