হংকং এর বিপক্ষে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলংকা। শ্রীলংকাকে হারিয়ে সুপার ফোরে যাওয়ার কাজটা আগেই করে রাখতে চেয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ৬ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। এই হারের ফলে সুপার ফোরে যাওয়ার পথ কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য। হংকংকে হারিয়ে শুভ সূচনা করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ৬ উইকেটে হেরে বড় ধাক্কা খেল টাইগাররা। লিটন-মুস্তাফিজদের জন্য সুপার ফোরের পথ খোলা রাখতে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় দরকার ছিল। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের টপ অর্ডার।

লঙ্কানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ব্যাটাররা। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন জাকের আলি ও শামিম হোসেন পাটোয়ারী। বাংলাদেশের দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো উড়ন্ত জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলংকা। এশিয়া কাপের হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে টাইগারদের ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে লঙ্কানরা। এমন হারের পর দ্বিতীয় রাউন্ডের পথ বেশ খানিকটা কঠিনই হয়ে গেল বাংলাদেশ দলের। বর্তমানে দুই ম্যাচে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সমান ২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আফগানিস্তান এবং দ্বিতীয় স্থানে শ্রীলংকা। তবে নেট রানরেটে তারা এগিয়ে আছে। ফলে বাংলাদেশের সুপার ফোরে যেতে হলে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততেই হবে। একইসঙ্গে শ্রীলংকার জন্য প্রার্থনা করতে হবে যেন আফগানদের বিপক্ষে জয়ী হয়। তাতে বাংলাদেশ পাবে ৪ পয়েন্ট, শ্রীলংকা ৬ পয়েন্ট এবং আফগানিস্তান ২ পয়েন্টে থেকে বিদায় নেবে। তবে আফগানদের কাছে হারলে কার্যত শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশের সুপার ফোরের স্বপ্ন। একমাত্র ভরসা তখন হবে হংকংয়ের অঘটন, যদি তারা শ্রীলঙ্কাকে হারায় এবং আফগানিস্তানও লঙ্কানদের হারায়, তবে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার পয়েন্ট সমান হবে। সে ক্ষেত্রে নেট রানরেট নির্ধারণ করবে কারা যাবে পরের রাউন্ডে। তাই বলা যায় বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ভর করছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে জয় এবং অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর।