নাসিম শাহ, মিসবাহ উল হক ও সাঈদ আজমলের মতো তারকা ক্রিকেটারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন মোঘিস আহমেদ। পাকিস্তানের এই এজেন্টকে নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। মোঘিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসিবি। মূলত কাউন্টির এক কোচকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার এক ক্লায়েন্টকে দলে নিলে কমিশন দেয়ার। কাউন্টি ক্রিকেটে ক্রিকেটার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করায় শাস্তি পেলেন পাকিস্তানের এই এজেন্ট। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের মালিক মোঘিস। তিনি অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটারের সঙ্গেই কাজ করেছেন। ফলে ক্রিকেটের অনেক জায়গায় তার পরিচিতি আছে। আর সেসব কাজে লাগিয়েই ক্রিকেটারদের বাড়তি সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি।কাউন্টি ক্রিকেটে একটি দলের কোচকে বাড়তি সুবিধার বিনিময়ে তার পরিচিত এক ক্রিকেটারকে দলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোঘিস। সেই কোচ এমন প্রস্তাবের কথা সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দেন ইসিবিকে। আর তদন্তে সেটার প্রমাণও পায় বোর্ড। ফলে দুর্নীতি-বিরোধী নীতি ভঙ্গের দায়ে তাকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করে ইসিবি।

৫ বছরের এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ৩০ মাস স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। অর্থাৎ প্রথম ৩০ মাস যদি তিনি আর কোনো অপরাধে না জড়ান তাহলে ৩০ মাস পরই তিনি মুক্তি পেয়ে যাবেন। ইসিবির ক্রিকেট রেগুলেটরের পরিচালক ক্রিস হাওয়ার্ড বলেন, ‘মোঘিস আহমেদ এক পেশাদার কাউন্টি কোচকে এমন এক দুর্নীতির পরিকল্পনায় যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন, যা ইংল্যান্ড-ওয়েলসসহ বিশ্ব ক্রিকেটের সততা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করত। এই দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা প্রমাণ করে, তিনি যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে চেয়েছিলেন তা কতটা গুরুতর ছিল।