ঘরের মাঠে ১৯ মাস পর ওয়ানডে সিরিজে জয় করেছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছে টাইগাররা। ফলে চার সিরিজ পর ওয়ানডেতে ফের জয় ফিরে এলো। রানের হিসাবে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। শেস ম্যাচে বাংলাদেশের ৮ উইকেটে ২৯৬ রানের সংগ্রহের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৭ রানে অলআউট হয়। ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দেখান সৌম্য সরকার ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার খেতাব পান সৌম্য, আর তিন ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরার খেতাব জেতে রিশাদ হোসেন। মিরপুরের কালো পিচে বড় রানের সম্ভাবনা দেখান ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। দুজনের ব্যাটে আসে ১৭৬ রানের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি। চার-ছক্কার ঝড় তোলা এই জুটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ওয়ানডেতে সর্বাধিক ১৪ ছয়ের রেকর্ডও স্থাপন করে। শতকের আগেই বিদায় নিতে হলেও তাওহীদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ইনিংসকে এগিয়ে নেন। শেষ দিকে রান তোলার গতি কমে গেলেও শেষ ৪৪ রানে ৫ উইকেট হারালেও বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৬ রানে। প্রতিপক্ষের ইনিংস শুরুতেই ধাক্কা দেন নাসুম আহমেদ। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার অ্যালিক আথানেজ, ব্র্যান্ডন কিং ও আকিম অগাস্টকে ফিরিয়ে দেন তিনি। পরে মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন রিশাদ হোসেন। দুজনই সমান তিনটি করে উইকেট নেন। সিরিজে মোট ১২ উইকেট নিয়ে রিশাদ হন সিরিজ সেরা। এটি এক ম্যাচ কম খেলেও বিশ্বরেকর্ডধারী মুস্তাফিজুর রহমানের ১৩ উইকেটের কাছাকাছি। ব্যাটিং তালিকায় তিন ম্যাচে ১৪০ রান করা সৌম্য সরকার শীর্ষ, তার পর নাজমুল হোসেন শান্ত (৯১), এরপর তাওহীদ হৃদয় ও সাইফ হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একমাত্র শাই হোপ শীর্ষ পাঁচে জায়গা পেয়েছেন। বোলারদের তালিকায় পুরো আধিপত্য স্পিনারদের। রিশাদ ছাড়াও আছেন নাসুম আহমেদ ও তানভির ইসলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একমাত্র প্রতিনিধি আকিল হোসেন ৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে, আর পার্টটাইম বোলার অ্যালিক আথানেজও জায়গা পেয়েছেন সেরা পাঁচে। এই জয়ের মাধ্যমে ওয়ানডে হতাশার চক্র ভেঙে বাংলাদেশ সাত সিরিজ জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলেছে। টাইগারদের এমন দাপুটে জয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে আত্মবিশ্বাসও বাড়াবে।