আগামীকাল রোববার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যে সিরিজের আগে গতকাল শুক্রবার অনুশীলন করার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। তবে অনুশীলন বাতিল হয়েছে। অনুশীলন বাতিল হলেও মিরপুরের একাডেমি মাঠে একাই অনুশীলন করেছেন নাঈম শেখ। কয়েকজন থ্রোয়ার নিয়ে মিরপুরে ব্যাটিং করেছেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন নাঈম। সেখানে নিজের ব্যাটিং পজিশনে নয় ৪ নম্বরে খেলেছেন তিনি। ২৯ বলে করেন ৩২ রান। পরের দুই ম্যাচে অবশ্য একাদশে দেখা যায়নি আর নাঈমকে। আসন্ন পাকিস্তানের বিপক্ষেও দলে রয়েছেন নাঈম। নাঈম শেখ নিয়মিত ওপেনার হলেও তাকে খেলানো হয় মিডল অর্ডারে। চার নম্বরে ব্যাট করে ব্যর্থ হন নাঈম। চার নম্বরে ব্যাট করা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন এই ওপেনার। গতকাল মিরপুরে অনুশীলন শেষে নাঈম বলেন, ‘সত্যি বলতে, আপনারা সবাই জানেন জাকের ইনজুরিতে ছিল বলেই আমার চারে খেলতে হয়েছে। আমার পাঁচে খেলার কথা ছিল। তো ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনা করে চারে খেলেছি। কিন্তু জাকের ইনজুরিতে থাকার কারণেই কিন্তু আমি খেলেছি। সাধারণত আমার খেলার কথাই ছিল না। তো মানসিকভাবে যদি আমি আগে থেকে জানতাম যে এমন সুযোগ আসবে...।’ ‘সত্যি বলতে, এইভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। ওপেনিংয়ে খেলার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকি। এখনও যে ব্যক্তিগত অনুশীলন করলাম, ওপেনিংয়ে কীভাবে খেলব বা সুযোগ আসলে কীভাবে কাজে লাগাব, সেটার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সত্যি বলতে, ওইটার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। তো পরেরবার যদি এভাবে সুযোগ আসে, অবশ্যই মাথায় থাকবে।’ যোগ করেন তিনি।

মিডল অর্ডারে কোন ধরনের ব্যাটিং করতে হয় তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন নাঈম। তিনি বলেন, ‘সবসময় ওপেনার হিসেবেই ব্যাটিং করেছি। তো ওই মানসিকতা নিয়েই খেললাম। কিন্তু মনের মধ্যে এটাও থাকে যে যদি মাঝখানে... এমন না যে আমি সেট হলে মাঝখানে খেলি না। কিন্তু হঠাৎ করে মাঝখানে নামলে কীভাবে খেলতে হয়, মিডল অর্ডারের খেলোয়াড়রা যে জিনিসটা নিয়ে সংগ্রাম করে, ওই জিনিসগুলো কিন্তু সাধারণত আমার জানা থাকে না।’ তিনি নআরো বলেন, ‘অনেক সময় বাইরে থেকে সহজ মনে হয়। খেলে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো। টোটালি ওই জায়গাটা ভিন্ন একটা জায়গা। তো সার্বিকভাবে সবকিছু মিলিয়ে সব জায়গায় অনুশীলন করি। কিন্তু এখন ব্যক্তিগত যে অনুশীলনটা ছিল, নিজের প্রস্তুতির জন্যই ছিল।’ শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। গেল বুধবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ব্যাট-বলে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে টাইগাররা ৮ উইকেটের বড় জয় পায়। যা লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথমবার লিটন-তাসকিনদের সিরিজ জয়ের কীর্তি। ওয়ানডে এবং টেস্টে বাজেভাবে হারের পর টি-টোয়েন্টিতে সান্ত্বনার জয় নিয়ে দেশে ফিরে আসেন ক্রিকেটাররা।

দলের সঙ্গে কোচিং স্টাফসহ ক্রিকেটাররাও দেশে ফেরেন। তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে এলেও অবশ্য বিশ্রামের সুযোগ থাকছে না তানজিদ-ইমনদের। কারণ ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে। এর আগে বাংলাদেশ দল মে মাসে পাকিস্তানে তিন ম্যাচের আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে এসেছে। যেখানে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয় লিটন-শান্ত-মিরাজরা।