নুরুল আমিন মিন্টু, চট্টগ্রাম থেকে : আজ চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলের। প্রথম টেস্ট ৩ উইকেটে হেরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। গতকাল সাগরিকায় দুইদলই অনুশীলন করেছে। অনুশীলন শেষে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুইদল। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হবে শেষ টেস্ট। রেকর্ড বলছে, বাংলাদেশ এই পর্যন্ত ১৯টি টেস্ট খেলেছে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে। দুইদলই আটটি করে জয় পেয়েছে। আর তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সর্বশেষ ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়লাভ করে বাংলাদেশ। সাগরিকায় সাত বছর ধরে কোন টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর মিশনে জিম্বাবুয়ের সাথে বাংলাদেশের সামনে প্রতিপক্ষ চট্টগ্রামের ভেন্যুও। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নবেম্বরে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা। ২০১৮ সালের পর চট্টগ্রামের ভেন্যুতে সাত টেস্ট খেলে ৬টিতে হার ও ১টিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের ভেন্যুতে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয় এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ৬৪ রানে ওই ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের কাছে ২২৪ রানের বড় ব্যবধানে টেস্ট হারে বাংলাদেশ। মূলত ব্যাটারদের ব্যর্থতা বাংলাদেশের ম্যাচ হারের প্রধান কারণ। প্রথম ইনিংসে ২০৫ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৩ রান করে টাইগাররা। ২০২১ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ওই টেস্টে ৩ উইকেটে হারে টাইগাররা। ওই টেস্টে ব্যাটিং ভালো হলেও বোলাররা দলকে জয়ের স্বাদ দিতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ৪৩০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২২৩ রান করে বাংলাদেশ। একই বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ৮ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। পরের বছর এই ভেন্যুতে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। দু’দলের ব্যাটারদের ব্যাটিং নৈপুন্যে টেস্টটি ড্র হয়। শ্রীলংকার হয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ১৯৯, বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবাল ১৩৩ ও মুশফিকুর রহিম ১০৫ রান করেন। লংকানদের বিপক্ষে এক ইনিংস ব্যাটিং করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ৪৬৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ওই বছরের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমে ১৮৮ রানে টেস্ট হারে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসে ১৫০ ও ৩২৪ রান করেছিল টাইগাররা। গেল বছর চট্টগ্রামের ভেন্যুতে দু’টি টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। মার্চে অনুষ্ঠিত শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে ১৯২ রানে হার মানে টাইগাররা। দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ১৭৮ ও ৩১৮ রান করেছিল তারা। এরপর অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে ব্যাটিং পারফরমেন্সে ইনিংস ও ২৭৩ রানে টেস্ট হারে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসে ১৫৯ ও ১৪৩ রান করেছিল স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ ইতিবাচক ব্র্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই বলে জানিয়ে অনুশীলন শেষে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের এই প্রধান কোচ ফিল সিমন্স বলেন, ‘প্রচ- গরম একদম ভ্যাপসা আবহাওয়া।’ তার মতো এখন একটু শীতলতা আশ্রয় খুঁজছে বাংলাদেশ ক্রিকেটও। চট্টগ্রামের অসহনীয় গরমের চেয়েও বেশি উত্তপ্ত এখন মাঠের বাইরের ক্রিকেটে, যেখানে ‘ক্রিকেট’ ব্যাপারটিই নেই।
ক্রিকেট
শেষ টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে
আজ চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলের।
Printed Edition
