জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার মাত্র ৫ রান। হাতে ছিল ২ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন রাবেয়া খান ও অভিজ্ঞ নাহিদা আক্তার। নারী সবুজ দলের জয় যেন হাতের মুঠোয়। কিন্তু ক্রিকেট সব যেন ওলটপালট করে দেয়। এবাার তার প্রমাণ মিলল বিকেএসপিতে। স্পিনার আফ্রিদি তারিকের প্রথম বলে রাবেয়ার শটে এলো দুই রান। লক্ষ্য তখন একেবারে নাগালের মধ্যে, ৫ বলে ৩। কিন্তু এরপরই ম্যাচের ভাগ্য নাটকীয়তায় মোড় নেয়। দ্বিতীয় বল ডট, তৃতীয় বলে রাবেয়ার সুইপ উঠে যায় ফাইন লেগে, অমিত কুমার লুফে নেন। বাড়ে নারী দলের চাপ। এবার স্ট্রাইকে এলেন সুলতানা খাতুন। তার প্রথম বল ডট। ওভারের পঞ্চম বলে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে দুই রান তুললে ম্যাচের সমীকরণ দাঁড়ায় শেষ বলে মাত্র ১। কিন্তু ভাগ্য যেন উপহাস করছিল নারী সবুজ দলের সঙ্গে। ব্যাটে বল লাগলেও রান নিতে ব্যর্থ তারা। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে স্বর্ণা আক্তার ও সোবহানা মোস্তারির ব্যাটে ভরসা রেখেছিল নারী দল। কিন্তু প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে এগিয়ে আঘাত করতে গিয়ে আউট হলেন সোবহানা। শেষ বলে স্বর্ণাও ফিরে গেলে মাত্র ৪ রানে থামে ইনিংস। ছেলেদের জন্য কাজ তখন খুব সহজ। লক্ষ্য ৬ বলে ৫ রান। প্রথম বলেই নাহিদার বলে এক রান নিলেন ওপেনার ওম। দ্বিতীয় বলেই ম্যাচ শেষ। অধিনায়ক বায়োজিদ বোস্তামি দুর্দান্ত ছক্কায় জয় নিশ্চিত করলেন। বিসিবি অনূর্ধ্ব-১৫ দল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। এর আগে ছেলেরা প্রথমে ব্যাট করতে নামে। আফজাল হোসেনের ৬৭ এবং আফ্রিদি তারিকের ৫০ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে তারা। জবাবে নারী দলও একই রান করলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। আর এতে বিসিবি উইমেন্স চ্যালেঞ্জ কাপে টানা দ্বিতীয়বার নারী সবুজ দলকে হারাল অনূর্ধ্ব-১৫ ছেলেরা। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নারী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে বিসিবি। যেখানে বয়সভিত্তিক দলের কাছেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা।