ক্রিকেট
ইংল্যান্ডের হারে বাড়তি আড়াই কোটি আয় বাংলাদেশের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এবার ভালো করেনি বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে উঠার আগেই বিদায় হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। তিন ম্যাচে দুই হার ও এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে টাইগাররা।
Printed Edition

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এবার ভালো করেনি বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে উঠার আগেই বিদায় হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। তিন ম্যাচে দুই হার ও এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে টাইগাররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের পারফরমেন্স ভালো না হলেও আর্থিক দিক বিবেচনায় এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা খারাপ যায়নি বাংলাদেশের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহন ফি এর পাশাপাশি জয় ছাড়াই আরও আড়াই কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইংল্যান্ড হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের টাকার পরিমান আরো বেড়ে গেছে। আইসিসি ঘোষিত প্রাইজমানি অনুযায়ী সপ্তম ও অষ্টম দল প্রাইজমানি পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৫ হাজার ৪০১ টাকা) করে। এ ছাড়া প্রতিটি দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার ৩৭ টাকা) করে। মানে বাংলাদেশ দলের কোষাগারে প্রায় ৩ কোটি টাকা এরই মধ্যে চলে এসেছে। পুরো টুর্নামেন্ট মিলিয়ে বাংলাদেশ ছিল সপ্তম স্থানে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইংল্যান্ড হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে আছে ষষ্ঠ স্থানে। এখন প্রাইজমানি হিসেবে বাংলাদেশ পাবে ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের চেয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা বেশি পাবে বাংলাদেশ। যা ৭ম বা ৮ম স্থান অর্জনের চেয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা বেশি। উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আর্থিক পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রানার্সআপদের মিলবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দুই দলের পকেটে যাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে। সবমিলিয়ে অন্য যেকোনো আসরের চেয়ে এবার মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার দিচ্ছে আইসিসি। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে প্রাইজমানি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল আইসিসি। ২০২৭ সালের আসরের তুলনায় যা ৫৩ শতাংশ বেশি।