দুর্নীতির দায়ে প্রায় দেড় বছর সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন নাসির হোসেন। অবশেষে সেই নিষেধাজ্ঞা কাঁটিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) দিয়ে মাঠে ফিরেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অলরাউন্ডার। সোমবার ডিপিএলে গাজি গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মুখোমুখি হয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। এই ম্যাচে রুপগঞ্জের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন নাসির। ১০ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। তিনে নেমে ১১ বল খেলে আউট হয়ে যান ৯ রানে। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি রূপগঞ্জ টাইগার্সের। ১৬০ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় ৯৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে দলটি।
এখন জাতীয় দলের খেলার স্বপ্ন দেখছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষে নাসির বলেছেন, ‘যারা ক্রিকেট খেলে, জাতীয় দলে খেলার জন্যই খেলে। আমিও স্বপ্ন দেখি। এটা বিশ্বাস করি, এখনও সুযোগ আছে। যদি পারফর্ম করতে পারি, অবশ্যই জাতীয় দলে খেলতে পারবো।’ জাতীয় দলে ফিরতে না পারার পেছনে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর নেতৃত্বাধীন আগের নির্বাচক কমিটিকে দায়ী করেছেন নাসির। তিনি বলেছেন, ‘ যেবার আমি বিপিএল ভালো খেললাম, এরপর কিন্তু “এ” দল বা বাংলা টাইগার্স বা প্রস্তুতি ম্যাচ কোথাও আমাকে ডাকেনি। ভাল পারফর্ম করার পরও যদি না ডাকে, তাহলে জাতীয় দলে কীভাবে খেলবেন? অবশ্যই স্বপ্ন দেখি জাতীয় দলে খেলার। এটা বিশ্বাস করি, পারফর্ম করলে অবশ্যই সুযোগ আসবে।’
নাসির আরও বলেছেন, ‘যদি বাইরের দেশে দেখেন, দুই বছর পরপর নির্বাচক প্যানেল বদলায়। ধরুন, আমি নির্বাচক হিসেবে আছি। আমার চোখে কিন্তু সবাইকে সমান ভালো লাগবে না। এটাই স্বাভাবিক। দুই বছর পরপর বদলালে, আমার চোখে যাকে ভালো লাগত না, অন্য কারও চোখে তাকে ভালো লাগতেও পারে। আপনি যদি এখন নয়-দশ বছর ধরে একই জায়গায় থাকেন, যাকে ভালো লাগবে না, তার তো ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেল প্রায়! আমি মনে করি, আমার ক্ষেত্রে এই জিনিসটা হয়েছে।
আমি যদি পাঁচটা সুযোগ পাই, বাকিদেরও পাঁচটা সুযোগই পাওয়া উচিত। এমন না হয় যেন, ওরা ২০টা সুযোগ পেল, আমি পাঁচটা সুযোগ পেলাম।’উল্লেখ্য ২০২৩ সালে সর্বশেষ বিপিএলে খেলেছিলেন নাসির। ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ৪৫.৭৫ গড়ে ও ১২০ স্ট্রাইক রেটে ৩৬৬ রান করেছিলেন। এছাড়া বল হাতে ১৪.০৬ গড়ে ও ৬.৮১ ইকোনমিতে ১৬ উইকেট শিকার করেছিলেন এই অলরাউন্ডার।