এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব টপকে বাংলাদেশ পৌঁছেছিল সুপার ফোরের দরজায়। এরপর শনিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল টাইগাররা, প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শ্রীলঙ্কা।
আর এই ম্যাচে লঙ্কানদের ৪ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরের শুভসূচনা করল বাংলাদেশ দল। এই জয়ের ফলে বাংলাদেশের পয়েন্টের খাতায় যোগ হয়েছে দুটি পয়েন্ট। দলের নেট রান রেট অবশ্য খুব আহামরি কিছু নয়, +০.১২১।
বাংলাদেশের হাতে এখনো আছে দুটো ম্যাচ। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর লিটন দাসের দল খেলবে ভারতের বিপক্ষে। এর পরদিনই পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচটা খেলবে বাংলাদেশ।
এই দুই ম্যাচের আগে সামনে চলে আসছে বাংলাদেশ দলের সমীকরণ। কী করলে কী হবে, তা এখনো অনেক দূরের বিষয়। তবু হিসেবটা কষে রাখতে ক্ষতি কী?
বাকি দুটো ম্যাচ জিতলে তো কথাই নেই, সেটা হলে হিসেবটা নিজেদের হাতে থাকবে। অন্তত একটি ম্যাচ জিতলেও অবস্থানটা সুবিধাজনকই থাকবে।
তবে বাংলাদেশ পরের দুই ম্যাচে হেরে গেলেও সুপার ফোরের গণ্ডি পেরিয়ে চলে যেতে পারে ফাইনালে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান অথবা ভারতের কোনো একটি দলকে সবকটা ম্যাচে জিততে হবে, বাংলাদেশ বাদে বাকি দুই দলকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে।
আর ভারত পাকিস্তান ম্যাচের হেরে যাওয়া দলটিকে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হবে, আর বাংলাদেশের বিপক্ষে অল্প ব্যবধানে জিততে হবে, সেটা হতে পারে শেষ বলে বা ১ রানের ব্যবধানে। সেক্ষেত্রে একটি দলের থাকবে ৬ পয়েন্ট, আর বাকি তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান ২। সেক্ষেত্রে শ্রেয়তর নেট রান রেটে থাকা দল যাবে ফাইনালে।
তবে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই এতসব হিসেব কষতে চাইবে না! ভারত, পাকিস্তান দুই দলকে হারিয়েই যেতে চাইবে ফাইনালে। এই দুই দলকে হারানোর অভ্যাস অবশ্য ভালোভাবেই আছে বাংলাদেশের। এশিয়া কাপে সবশেষ দেখাতেও তো ভারতকে হারিয়েছিল টাইগাররা, সেটা যদিও ওয়ানডে ফরম্যাট ছিল! আর পাকিস্তানকে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। সেসব ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই নিশ্চয় আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর চাইবে বাংলাদেশ! আর তা হলেই ৭ বছর পর এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলবে টাইগাররা।